আন্তর্জাতিক মানবপাচার বিরোধী দিবস আজ। সাগরপথে ইউরোপে যাওয়ার শীর্ষে এখন বাংলাদেশ। মানবপাচারে বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার।
‘গেম’ মানব পাচারকারীদের ব্যবহার করা একটি টার্ম। এই গেমের মাধ্যমেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে পাচার হয় মানুষ। এধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় জীবন দিয়েছেন বাংলাদেশের অনেকে। সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফিরেছেন কেউ কেউ।
পরিবারের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দালালদের হাতে অর্থ তুলে দেয় ইউরোপ পাড়ি দেয়ার স্বপ্নে বিভোর শত শত মানুষ। উন্নত জীবনের আশায় গেমের মাধ্যমে পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকা ডুবে জীবন হারিয়েছে এদের অনেকেই।
বেসরকারি সংস্থার হিসাবে, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাংলাদেশি। এক দশকে উদ্ধার হয়েছে ৩৭ হাজারের বেশি। এছাড়া ঝুলে আছে ৫ হাজারের বেশি মামলা।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, মানবপাচারের ক্ষেত্রে যে দুটি বিষয় প্রবলভাবে কাজ করে সেগুলো হলো বিদেশে শ্রমবাজারের চাহিদা এবং উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশের মানুষ অসচেতনতা এবং অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। এছাড়া, করোনা মহামারির কারণেও মানব পাচারের প্রবণতা বেড়েছে।
ব্র্যাক অভিবাসন প্রকল্পের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান যমুনা নিউজকে বলেন, আমাদের লোক একদিকে বিদেশে পাচার হচ্ছে, অন্যদিকে আমাদের দেশের ভেতরে বা বাইরে মানবপাচারের ঘটনায় যে মামলাগুলো হচ্ছে সেই মামলাগুলোরও যথাযথ বিচার করা যাচ্ছে না।
মানবপাচার রোধে সংঘবদ্ধ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a reply