বাংলাদেশ সফরে আসা অস্ট্রেলিয়া দলে দু’জন লেগ স্পিনারের সাথে আছেন এক বাঁ হাতি অথোর্ডক্স। তিনজন যদি একসাথে প্রথম একাদশে খেলেন তাহলে সেটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বাংলাদেশের জন্য। যদিও টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডার প্রায় পুরোটাই বাঁ হাতি দিয়ে ভরা। তাই এখনই বলা মুশকিল, বাংলাদেশের কন্ডিশনে কতটুকু কার্যকর হবে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন।
হন্যে হয়ে মানসম্মত লেগ স্পিনার খুঁজছে বাংলাদেশ। জুবায়ের লিখন থেকে শুরু করে বিপ্লব কিংবা রিশাদকে পেয়েও শেষ হয়নি সে অন্বেষণ। অন্যদিকে বাংলাদেশ সফরে আসা অস্ট্রেলিয়া দলের স্পিন ডিপার্টমেন্টের মূল শক্তি লেগ স্পিন। দলে আছে দু’জন পরীক্ষিত লেগ স্পিনার।
নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন অ্যাডাম জাম্পা। ফ্লাইটটা তার সব থেকে বড় অস্ত্র। সেই সাথে জোরের উপর করা বলগুলোতেও আছে ভালো নিয়ন্ত্রণ। ধারাবাহিকভাবে উইকেট টু উইকেট বল করতে পারেন বলে ফুলটসেও উইকেট পেয়ে যান। এখন পর্যন্ত ৪৬ টি টি-২০ ম্যাচে ৭.০৪ ইকোনমিতে উইকেট নিয়েছেন ৪৭ টি। যদিও সর্বশেষ উইন্ডিজ সিরিজে সেরা ফর্মে ছিলেন না জাম্পা, ৫ ম্যাচে ৭.0২ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তবে এশিয়ার মাটিতে জাম্পার পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশের সাথে সিরিজে অজিদের তুরুপের তাস হবেন জাম্পাই। এশিয়ার মাটিতে ৪৭ ওভার বল করে মাত্র ৫.৮৯ ইকোনমিতে উইকেট নিয়েছেন ১৪ টি। তাই আগস্ট মাসে বাংলাদেশের কন্ডিশন আর মিরপুরের পিচ- সব মিলিয়ে মাঝের ওভারগুলোয় জাম্পাকে উইকেট বঞ্চিত রাখাই হবে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
জাম্পা যেমন উইকেট টু উইকেট বলের উপর নির্ভরশীল, ঠিক তার উল্টো মিচেল সুয়েপসন। শেন ওয়ার্নের মত রাউন্ড আর্ম অ্যাকশনের সুবাদে বড় টার্ন করাতে সিদ্ধহস্ত সুয়েপসন। টার্ন এর সাথে জোরের উপরও বল করতে পারেন তিনি। ৫ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৮.৬৫ গড়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট। ভারতের সাথে এক ম্যাচেই নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। মিরপুরের পিচে কার্যকর হতে পারেন তিনিও।
দুই লেগির সাথে বৈচিত্র বাড়াবেন অ্যাস্টন অ্যাগার। উচ্চতার কারণে এক্সট্রা বাউন্স পান তিনি, বল স্কিড করে অনেক। এখন পর্যন্ত ৩৪ ম্যাচে ৬.৯৫ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৩৪ উইকেট। এশিয়ার মাটিতে এখন পর্যন্ত টি-২০ তে কোনো উইকেট না থাকলেও অ্যাগারের আছে বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা।
অস্ট্রেলিয়া দলে দুই লেগ স্পিনারের উপস্থিতি শুনে খানিকটা আশঙ্কা জাগতেই পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপের প্রায় পুরোটাই বাঁ হাতি দিয়ে ভরা। সেক্ষেত্রে সুবিধা পেতে পারে বাংলাদেশ। অজিদের বিরুদ্ধে সাফল্য নির্ভর করবে এই সুবিধাকে কাজে লাগানোর উপর।
Leave a reply