বগুড়া ব্যুরো:
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়ার ফাঁপোড় এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুর ইসলাম রকিকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। হত্যায় অংশ নেয়া সাত স্থানীয় সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) ভোররাতে রংপুর ও বগুড়া থেকে রকি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ৭ জনকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয় তারা।
দুপুরে র্যাব-১২’র বগুড়া স্পেশাল কোম্পানিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার দিন রাত থেকেই র্যাব-১২’র বেশ কয়েকটি টিম এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে র্যাবের একটি দল রংপুরের বদরগঞ্জ এলাকা থেকে হত্যা মামলার ৫ আসামি; মেহেদী হাসান, আরিফুর রহমান, আলী হাসান, ফজলে রাব্বী এবং আবদুল আহাদকে গ্রেফতার করে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকারের পর তাদের দেয়া তথ্যমাফিক শনিবার ভোররাতে ফাঁপোড় এলাকা থেকে হত্যামামলার প্রধান আসামি গাউসুল আজম এবং ফুয়াদ হাসান মানিককে গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড বুলেটসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি চাপাতি জব্দ করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মামুন জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসী গাউসুল আজম তার ক্যাডারবাহিনী নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় চাঁদাবাজি করতো। মমিনুর ইসলাম রকি সামনের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবার ঘোষণা দিলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রকির সাথে আজমের বিরোধ তৈরি হয়। এরপরই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আজম। পরিকল্পনা মাফিক মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রকিকে এলাকায় পেয়ে তারওপর হামলা চালায় আজম ও তার বাহিনী।
Leave a reply