এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তুরস্কের দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বন থেকে আগুনের তীব্রতা লোকালয়েও ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে আট জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দাবানল সৃষ্টির পেছনে গেরিলা দল পিকেকের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে বুধবার ১২৬টি জায়গায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। ফায়ার ব্রিগেডের পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন-ইরান-আজারবাইজানের স্বেচ্ছাসেবী দলের অক্লান্ত পরিশ্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আগুন একেবারে নেভেনি।
লোকালয়ে আগুন ঢুকে পড়ায় প্রাণহানি এড়াতে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হলেও গবাদি পশু, ঘরবাড়ি ও স্থাপনাগুলোর শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
সাধারণ মানুষ বলছেন, যাদের জন্য এই বোবাপ্রাণিগুলো পুড়ে মরছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবেই।
প্রাথমিকভাবে এমন তথ্য মিলেছে যে, খেলাচ্ছলে মারমারিস শহরে আগুনের সূত্রপাত ঘটিয়েছে শিশুরা। এছাড়া মিলাস শহরের দাবানলের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে একজন। গেলো বছর, মানগাতাওর বনাঞ্চলে আগুন লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল গেরিলা দল পিকেকে।
Leave a reply