নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ সানি (১৮) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আরও তিনজন গুরুতর জখম হয়েছে।
সোমবার (২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার গোলাকান্দাইল বাঁধ এলাকায় ঘটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত মোহাম্মদ সানি গোলাকান্দাইল বিজয়নগর এলাকার মিল্লাত হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়া এলাকার মিছির আলীর ছেলে মাহফুজ ফেসবুকে মোহাম্মদ সানিকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এছাড়া আগে থেকেই মাহফুজদের সাথে মোহাম্মদ সানিদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
সোমবার রাত ৮ টার দিকে সানি ও তার লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গোলাকান্দাইল বেড়িবাঁধ এলাকায় মাহফুজকে খুঁজতে যায়। এ সময় মাহফুজের সহযোগী দুই জনকে আটক করে ফেলে সানিসহ তার লোকজন। এরপর তারা অস্ত্রসহ মহড়া দেয়। এ সময় মাহফুজ ও তার ভাই মাসুমসহ তাদের লোকজনও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাল্টা মহড়া দেয়।
এক পর্যায়ে মাহফুজ ও তার ভাই মাসুমসহ তাদের লোকজন সানিসহ তাদের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে মাহফুজ ও মাসুমসহ প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা সানিকে প্রকাশ্যে রামদা, চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় হীরা, সায়েমসহ আরও তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আলামিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিল্পাঞ্চল হওয়াতে গোলাকান্দাইল এলাকায় লাখ লাখ মানুষের বসবাস। স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। তারা কয়েক দিন পর পর হত্যাসহ এ ধরনের মারামারি হানাহানির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a reply