স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:
নওগাঁয় ডিসি, এসপি, ডাক্তার, সেনাবাহিনীসহ, প্রবাসী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ভুয়া পরিচয়ে নারীদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করা সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সাদ্দাম প্রতারণার জন্য ছদ্মবেশি জীবন বেছে নিতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। দামি ব্র্যান্ডের গাড়িতে চড়ে পাঁচ তারকা হোটেলে নারীদের সাথে দেখা করতো সে।
সোমবার (২ আগস্ট) নওগাঁ শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে প্রতারণার শিকার এক নারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। সে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার আটুলিয়া গ্রামের কাওছার আলীর ছেলে। তার স্ত্রীর সংখ্যা চার জন। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যাালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে আটকের কথা জানান নওগাঁ পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সাদ্দাম হোসেন বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের পটিয়ে বিয়ে করার কৌশল হিসেবে নিজের লাইফ স্টাইল চেঞ্জ করে। অনলাইন ম্যারেজ মিডিয়াগুলোতে সে কখনো নিজেকে আমেরিকা সিটিজেন, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী, ডিসি, পুলিশ সুপার, ডাক্তার, সেনাবাহিনী, বড় ব্যাবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজার বিজ্ঞপ্তি দিতো। এরপর বিভিন্ন সুন্দরী মেয়ের সাথে চ্যাটিং করে শুরুতেই তাদের ছবি নিতো। তারপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদেশ নেওয়ার কথা বলে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। টাকার পাশাপাশি মেয়েদের কাছ থেকে ব্যাংক চেকও নিয়ে রাখতো। পাশাপাশি সে মেয়েদের সাথে শারিরীক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে রাখতো।
তিনি আরও বলেন, জেলার এক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে মারা যাওযায় তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। এই সুযোগে সাদ্দাম ওই ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলে। সাদ্দাম তাকে বিভিন্নভাবে সরকারের উচ্চ মহলের সাথে যোগোযোগ আছে বলে বিশ্বাস করায়। তারপর তার কাছ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের টিকিট নিয়ে দেওয়া ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর থেকে তার
সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। ওই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দেওয়া তথ্যেই সাদ্দামকে আটক করা হয়।
আটককের পর তার মোবাইল ফোন হতে অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
/এস এন
Leave a reply