ডোবা-নালায় জন্ম নেয়া মশা হামলে পড়ছে বাসা বাড়িতে। অতিষ্ঠ জনজীবন। ‘মশার রাজধানী’তে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত আক্রান্তের ভয় সর্বত্র।
মশার জ্বালা থেকে বাঁচতে কয়েল, স্প্রে ব্যবহার করতে গিয়ে আরেক যন্ত্রণায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। ক্ষতিকর উপাদানে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে স্বাস্থ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্ধারিত মাত্রায় ব্যবহার করলে সমস্যা নেই। কিন্তু বাজারে পাওয়া অধিকাংশ ব্র্যান্ডে স্প্রে বা কয়েলে ক্ষতিকর ক্যামিকেলের ব্যবহার সহনশীল মাত্রার হয় না। ফলে এগুলো ব্যবহারে শ্বাসকষ্ট, এলার্জিসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবহারকারীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কিছুদিনে কয়েল ও স্প্রের বিক্রি বেড়ে গেছে আগের চেয়ে ৩০% বেশি। আর এতে বাড়ছে নানা শারিরীকি জঠিলতা।
এক গৃহবধু বললেন, ‘চোখ দিয়ে পানি পড়ে, কিছু করার তো নাই। আমার আর মেয়ের মেয়ের স্প্রেতে সমস্যা হয়। এলার্জি বেড়ে যায়। মেয়েতো বাসায় থাকতেই পারে না।’
বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানে তৈরি হয় মশার স্প্রে-কয়েল। কয়েলে থাকে ফরমালডিহাইড, হাইড্রোকার্বনসহ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান। মশা তাড়ানোর অধিকাংশ ক্রিমে থাকে টলুএমাইড, অ্যারোসোলে থাকে পাইরিথয়েড। তাৎক্ষণিক এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব বোঝা না গেলেও গবেষণা বলছে, কয়েল-স্প্রে ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে ব্যবহারকারীদের।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বলেন, কয়েল ও স্প্রে’র ব্যবহারে শ্বাসকষ্ট, অনিদ্রা থেকে শুরু করে ছোটখাটো নানা রোগের শঙ্কা রয়েছে। এমনকি কারো কারো জন্য ক্যান্সারের কারণও হতে পারে এসব থেকে নির্গত কেমিক্যালের ধোঁয়া।
Leave a reply