আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি হঠাৎই ফেসবুকে লাইভে এসে জানান, তার বাসার সামনে বিভিন্ন পোশাকের কিছু লোক তাকে দরজা খুলতে বলছে। বাসার সামনে ভাঙচুর করছে বলেও লাইভে অভিযোগ করেন তিনি। তবে পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারায় তিনি দরজা খোলেননি। লাইভে থাকা অবস্থায়ই তিনি বেশ কয়েকজনকে ফোন করেছেন। পরী লাইভে বলেন, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদের সাথে কথা বলে তিনি জেনেছেন, তারা কাউকে পাঠাননি। তবে একপর্যায়ে একটি ফোন পেয়েই তিনি দরজা খুলেছেন।
এরপরই র্যাব তার বাসায় অভিযান শুরু করে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পরীমণি লাইভে বলেন, আমি ডিবি অফিসে ফোন করেছি, বনানী থানায় ফোন করেছি। হারুন ভাইকে (মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার) ফোন করলে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। আমি জানি না কারা গেছে।
পরীমনি লাইভে বলেন, শুরু থেকেই আমাকে মেরে ফেলার ভয় পাচ্ছি। আমাকে কেউ মারতে চান। কেউ এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে এসে যদি আমাকে খুন করতে আসেন তাহলে আমি কী করবো। তদন্ত করতে এলে আমাকে পরিচয় দিক। যদি সত্যি পুলিশ হয় তাহলে আমি অবশ্যই দরজা খুলবো।
পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পর দরজা খোলেন পরীমণি। এরপর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সহযোগিতা করার জন্য র্যাব কর্মকর্তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে লাইভ বন্ধ করেন তিনি।
গত বেশকিছুদিন ধরেই নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত ঢাকায় ছবির এ নায়িকা। গত ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। সেখানে ৯ জুন (বুধবারে) রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন পরিমণি। ১৩ জুন রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে পরীমণি এই বিষয়ে প্রথম সরব হন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিষয়টি দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করে। পরে পরীমণির বিরুদ্ধেও একাধিক ক্লাবে গিয়ে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠে।
Leave a reply