আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টা থেকে তার বাসা ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জানা যায়, মডেল পিয়াসা, মৌ, নায়লা নাঈম, নায়িকাসহ বেশ কয়েজনের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংসহ নানা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। পরীমণির বিরুদ্ধেও এমন কোনো অভিযোগ আছে কিনা সেটি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়নি।
এছাড়া অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বিকেল ৪টার দিকে পরীমণির লাইভে এসে বলেন, ২০ মিনিট ধরে আমার বাসার গেটে ধাক্কাচ্ছে কারা যেন। তারা বলছেন তারা পুলিশ। অথচ আমি বনানী থানায় যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আমাদের থানায় থেকে কোনো পুলিশ যায়নি। তিনি বলেন, আমি ডিবি অফিসে ফোন করেছি, বনানী থানায় ফোন করেছি। হারুন ভাইকে (মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার) ফোন করলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যেতে পারেন। আমি বলেছি আপনি কনফার্ম না করলে আমি দরজা খুলবো না। পরে তিনি ফোন করে বলেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। আমি জানি না কারা গেছে।
পরীমনি বলেন, শুরু থেকেই আমাকে মেরে ফেলার ভয় পাচ্ছি। আমাকে কেউ মারতে চান। কেউ এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে এসে যদি আমাকে খুন করতে আসেন তাহলে আমি কী করবো। তদন্ত করতে এলে আমাকে পরিচয় দিক। তাহলে আমাকে পরিচয় দিতে হবে। যদি সত্যি পুলিশ হয় তাহলে আমি অবশ্যই দরজা খুলবো।
পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পর দরজা খোলেন পরীমণি। এরপর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সহযোগিতা করার জন্য র্যাব কর্মকর্তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে লাইভ বন্ধ করেন তিনি।
গত বেশকিছুদিন ধরেই নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত ঢাকায় ছবির এ নায়িকা। গত ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। সেখানে ৯ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন পরিমণি। ১৩ জুন রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে পরীমণি এই বিষয়ে প্রথম সরব হন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিষয়টি দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করে। পরে পরীমণির বিরুদ্ধেও একাধিক ক্লাবে গিয়ে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠে।
Leave a reply