আফিফ ও সোহানের ব্যাটিং থেকে শিখতে পারে অজিরা

|

বাংলাদেশের জয়ের দুই নায়ক আফিফ হোসেন (বায়ে) ও নুরুল হাসান সোহান।

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের ভাগ্যকে নিজেদের দিকে নিয়ে এসে শুধু জয় অর্জনই না, আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান দেখালেনও, কীভাবে এমন উইকেটে ব্যাট করতে হয়। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ধুঁকতে থাকা অজিরা শিখতে পারেন এই তরুণদের কাছ থেকেও।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে একটি জয়ের জন্য ছিল অপেক্ষা। আর এখন টাইগাররা পেয়ে গেছে দুটি। এখানেই তারা থেমে যেতে চাইবে না হয়তো। অজিদের বিরুদ্ধে যে ভয়ডরহীন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ, তাতে বাকি তিন ম্যাচে এই ধারা ব্যাহত হলেই বরং আহত হবে দর্শকেরা।

১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাঝপথে ধুঁকেছে বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডারে আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর মতো দুই অভিজ্ঞ সেনানীর বিদায়ে পাঁচ উইকেট হারিয়ে যখন বাংলাদেশের রান ৬৭, ম্যাচে তখন হেলে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার দিকে। কিন্তু আফিফ আর নুরুল হাসান সোহান বল প্রতি রান তোলার তাড়ায় কোনো চাপ অনুভব করেছেন বলে মনে হয়নি। স্ট্রাইক রোটেটের সাথে বাজে বলকে সীমানা ছাড়া করতে দ্বিধা করেননি দুই তরুণ। স্টার্ক ও হ্যাজলউডদের আগুনে সব গোলাকে যেমন সামলেছেন, তেমনি আপার কাট বা শুদ্ধতম কাভার ড্রাইভে সীমানা ছাড়া করে ফিরিয়ে দিয়েছেন হতাশা।

স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়ে ম্যাচের সেরা ব্যাটার ছিলেন আফিফ। কিন্তু তার ইনিংসটা ছিল এই পরিসংখ্যানের চেয়েও ভালো। ১৩তম ওভারে টাইয়ের বলে ছক্কা মেরে রান এবং বলকে সমান করেন আফিফ। আর সেরা ব্যাটিংকে জমিয়ে রেখেছিলেন শেষের জন্য। স্টার্কের বলে আফিফের মারার কাভার ড্রাইভ তো শট অব দ্য সিরিজ হবারই শক্ত প্রতিযোগীই হয়ে গেল।

নুরুল হাসান সোহানের প্রথমে স্ট্রাইক রোটেট এবং পরবর্তীতে বাউন্ডারি হাঁকানোর বিচক্ষণ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে আফিফ পেয়ে যান নিজের মতো খেলার লাইসেন্স। শেষ সাত বলে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাঁহাতি এই তরুণ। অস্ট্রেলিয়ার দিকেও একটি বার্তা ছুঁড়ে দিলো টাইগার তরুণরা, আরেকটু ভালোভাবে হোমওয়ার্ক করে বাংলাদেশে আসা উচিত ছিল অজিদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply