কিংবদন্তি বাঙালি গায়ক এবং নায়ক কিশোর কুমার। আজ প্রয়াত এই কিংবদন্তির জন্মদিন। ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করা এই শিল্পী শুধু রিল লাইফে নয়, রিয়েল লাইফেও ছিলেন দারুণ রসিক। তাই তো নিজের বাড়ির বাইরে লিখে রাখতেন ‘বি অ্যাওয়ার ফ্রম কিশোর কুমার’।
প্রতিভা যেমন ছিল তেমনি তিনি ছিলেন বেশ খেয়ালি। নায়ক হওয়ার পর চেয়েছেন গায়ক হতে। তারপর সঙ্গীতের উপর কোনো তালিম ছাড়াই হয়েছেন হিন্দি সিনেমার ইতিহাসের সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার। যার শুরুটা হয়েছিল তার বড়ভাই জনপ্রিয় অভিনেতা অশোক কুমারের হাত ধরে। প্রথম সিনেমা ‘শিকারী’ হলেও নায়ক হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন ‘আন্দোলন’ ছবিতে। সেই থেকে আভাস কুমার গাঙ্গুলি থেকে তিনি হয়ে ওঠেন কিশোর কুমার।
বাংলা সিনেমা দিয়ে শুরু করে যাত্রা করেন হিন্দি সিনেমার দিকে। পরে চালতিকা নাম গাড়ি, পাড়োসান, হাফটিকেট, আশা-র মত ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি তিনি হয়ে যান জনপ্রিয়। বিশেষ করে কমেডি অভিনেতা হিসেবে তিনি ছিলেন অনবদ্য।
পঞ্চাশের দশকে কিশোর কুমার নায়ক হিসেবে খ্যাতি পেলেও তার ইচ্ছা ছিল গায়ক হওয়ার। ফলে শচীন দেব বর্মণের হাত ধরে শুরু করেন প্লেব্যাক ক্যারিয়ার। এরপর ইনামিনাডিকা, মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি, রুপ তেরা মাস্তানা, খাইকে পান বানারাসওয়ালার মত গানগুলো দিয়ে চলে যান জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সেই সাথে অর্জন করেন আর্টিস্ট ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। শুধু হিন্দি নয়, বাংলাতেও রয়েছে তার অসংখ্য জনপ্রিয় গান। আমার পূজার ফুল, আজ এই দিনটাকে, আশা ছিল, পৃথিবী বদলে গেছে ছিল তার গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় কিছু গান।
তবে হঠাৎই একদিন হারিয়ে যান তিনি। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর ৫৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। তবে এখনও এতটুকু কমেনি তার জনপ্রিয়তা। বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তিনি বেঁচে আছেন তার গানগুলোর মধ্যে দিয়ে।
Leave a reply