মোস্তাফিজের স্লোয়ারেই নাকাল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ফিজের গতির ভ্যারিয়েশনে কাবু হলেও, কাটার মাস্টার মন জয় করেছে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার অ্যাস্টন অ্যাগারের। স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও মোটেও লজ্জিত নয় অস্ট্রেলিয়া। বরং ভিন্ন কন্ডিশনে নতুন কিছু শিখছেন প্রতিনিয়তই, দাবি অ্যাগারের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে নাস্তানাবুদ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ করে মিরপুরের স্লো উইকেটে বাংলাদেশি বোলারদের বিপক্ষে নাকাল হয়েছে অজি ব্যাটসম্যানরা। দুই ম্যাচে অজিরা হারিয়েছে ১৭ উইকেট। যার মধ্যে ৮ উইকেট নিয়েছেন টাইগার স্পিনাররা। তবে অজিদের মূল দুশ্চিন্তা স্পিনার নয়, কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। অস্ট্রেলিয়ার দলতো বটেই, ফিজকে নিয়ে ধুম্রজালে আচ্ছন্ন অজি গণমাধ্যমও। দ্বিতীয় ম্যাচ হারের পরদিন অ্যাস্টন অ্যাগারের কাছে তাদের প্রশ্ন, মোস্তাফিজ স্পিনার নাকি পেসার?
অ্যাগার বললেন, মোস্তাফিজ একজন ব্যতিক্রমী বোলার। সত্যি বলছি ওকে বুঝতে পারা খুবই কঠিন। ওর স্লো বল করার দক্ষতা অসাধারণ। স্লো মোশনে দেখলে আরও বোঝা যায় কনুই ও আঙুলের ব্যবহার করে কী অনবদ্য বোলিং সে করে! এই ভাবে স্লো বল করাটা একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন। বলটা লো হবে নাকি গতিই কেবল কমবে? স্পিন করবে না সোজা যাবে, সেটা বোঝার উপায় থাকে না। সত্যি এক অসাধারণ প্রতিভা সে।
বাংলাদেশের কাছে টানা দুই ম্যাচের পর এবার সিরিজ হারের লজ্জার ঝুঁকিতে আছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অ্যাস্টন অ্যাগার বলছেন, হারলেও মোটেও লজ্জিত নন তারা। কারণ অক্টোবর নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই ম্যাচগুলো খুবই কার্যকরী হবে, বলছেন এই অজি অলরাউন্ডার।
এ নিয়ে অ্যাস্টন অ্যাগার বলেন, বাংলাদেশের কাছে হারে মোটেও লজ্জিত নই আমরা। কারণ আমরা প্রতিনিয়তই শিখছি। আমাদের পেসাররা জোরে নয়, এখানে মোস্তাফিজের মতো স্লো বল করার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দেবে।
টাইগারদের দুর্বল প্রতিপক্ষ ভেবে অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্রডকাস্টার এই সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নেয়নি। আলোচিত এই বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বললেন অ্যাগার। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী খুবই নাখোশ কারণ সে আমার খেলা দেখতে পারছে না। কিন্তু এই বিষয়ে আমার কিছুই করার নেই কারণ আমি এর সাথে জড়িত নই। তবে নিশ্চয়ই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীরা এটা পছন্দ করবে না। বিশেষ করে তরুণরা এই খেলা দেখে অনেক কিছু শিখতে পারতো।
Leave a reply