স্টাফ রিপোর্টার:
নরসিংদীতে তরুণীকে প্রকাশ্যে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তাকে মারধোর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা না নিয়ে মীমাংসা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
নরসিংদী সদর উপজেলার দরিপাড়া এলাকার গেট বাজারে স্থানীয় এক তরুণী (১৮) মায়ের জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে ওই এলাকার বখাটে রিফাত ও শিহাব মেয়েটির পথরোধ করে তাকে উত্ত্যক্ত করে। এসময় তরুণীটি প্রতিবাদ করলে তাকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় ও মারধোর শেষে তার সাথে থাকা মোবাইলটি নিয়ে যায় দুই বখাটে।
পরে ওই তরুণী বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার মা, বড় ভাই ও চাচাতো ভাইকে জানালে তারা গেট বাজার এলাকায় গিয়ে বখাটে রিফাত ও শিহাবকে খুঁজতে থাকে। এসময় ঐ তরুণীর বড়ভাই ও চাচাতো ভাইয়ের ওপর হামলা অতর্কিত হামলা চালায় বখাটে রিফাত, মেহেদীসহ সাথে থাকা আরও ৮/১০ জন মাস্তান।
পরে পুলিশকে অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বখাটে রিফাতকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও তা অস্বীকার করেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম। তরুণীকে প্রকাশ্যে ইভটিজিং ও মারধোর করে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেলেও থানায় দুই পক্ষকে নিয়ে ভূক্তভোগীর পরিবারের অনিচ্ছায় মীমাংসায় বসেছেন ওসি, বলে অভিযোগ ভূক্তভোগী পরিবারের। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা না নিয়ে দু পক্ষকে একসাথে বসিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছেন ওসি সওগাতুল আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সওগাতুল আলম, বলেন এটা কি বড় কোন ঘটনা? এটা ইভটিজিং এর কোন ঘটনা না। আটকেরও কোন ঘটনা না। এখানে দুইপক্ষই বসছে সমাধানের জন্য।
ভূক্তভোগী তরুনীর চাচাতো ভাই অহিদুজ্জামান বলেন, বাজারে ঔষধ কিনতে গিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বখাটে রিফাত ও শিহাব আমার চাচাতো বোনের পথরোধ করে তাকে উত্ত্যক্ত করে, এসময় সে (ভূক্তভোগী) প্রতিবাদ করলে তাকে চড়-থাপ্পড় ও মারধোর করে এবং তার মোবাইল টি নিয়ে যায় বখাটেরা। পরে ঘটনা জেনে তার মা ও ভাইসহ আমি বাজারে গেলে ৮-১০ জন বখাটে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে রিফাতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এখন মামলা না নিয়ে উল্টো দুই পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছেন ওসি। এটা নিঃসন্দেহে অন্যায় ও হতাশাজনক।
/এসএইচ
Leave a reply