তথাকথিত মডেলিংয়ের আড়ালে মাদক এবং অস্ত্র চোরাচালানের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন পিয়াসা-মিশু ও জিসান চক্র। বিশেষ কৌশলে টোপ ফেলে প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা তৈরি করতেন তারা। ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার সাথেও। এ সুযোগে তাদের অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা জমে ওঠে। অবৈধ পথে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যান তারা। গ্রেফতারের পর পিয়াসা ও মিশুর স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে অবাক করার মতো তথ্য।
পিয়াসা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ভিডিও দেখে নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেখা যায়, অজ্ঞাত স্থানে অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও তার দুই সহযোগী। একজন শুভ ওরফে কিলার শুভ, আর সেই ভিডিওতে স্নাইপার রাইফেল হাতে অন্যজন জিসান।
এমনকি মডেল পিয়াসার হাতেও দেখা গেছে ভয়ঙ্কর উজি গান। এ ছবি ভাবিয়ে তোলে সবাইকে। পিয়াসা চক্রের অস্ত্র ভান্ডারের খোঁজে মাঠে নামে গোয়েন্দারা। তাদের ধারণা মডেলিংয়ের মতো ঝলমলে পেশার আড়ালে অত্যাধুনিক এসব অস্ত্রের চালান ছড়িয়ে দেয়া হতো।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃত মিশু হাসানের বিরুদ্ধে আমরা মাদক পেয়েছি, অস্ত্র পেয়েছি। পর্ণোগ্রাফি এক্টেও তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
ডেইরি ফার্মের আড়ালেও চলতো তাদের অস্ত্র এবং মাদক বেচাকেনা। মৌসহ পিয়াসা চক্রের মডেলরা ছিলেন এসবের মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এর বাইরে পিয়াসার সুবিশাল অ্যাপার্টমেন্টে প্রতিনিয়তই আয়োজন হতো ডিজে পার্টি। যেখানে ভিআইপি থেকে শুরু করে অনেক হাইপ্রোফাইল অতিথি হারিয়ে যেতেন মাদকের নেশায়। এরপর তাদের গোপন ছবি তুলে চলতো ব্ল্যাকমেইলিং।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবন, পরিবহন ও চোরাচালান করে থাকে তারা। এসব পার্টিতে যারা অংশ নেয় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় এই চক্র।
পিয়াসা-মিশু চক্রের সাথে যুক্ত অর্ধশতাধিক নাম আছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। চোরাই পথে দামি বিলাসবহুল গাড়ি এনে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতো তারা। এদের কেউ কেউ এরই মধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে র্যাব বলছে, এবার আর পার পাবে না অপরাধীরা।
/এস এন
Leave a reply