পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
১১ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল। প্রতিপক্ষের আক্রমণে হাতের কব্জি হারিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার (৭ আগস্ট) পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। রাকিবুলের ভাই মো. ইমরান মাহমুদ তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। নিহত রাকিবুল ইসলাম পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রাকিবুলের ভাই ইমরান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন তারা। আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় কলাপাড়া শহরের মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে রাকিবুলের প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও জানান, তার ভাইয়ের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর গত ১১দিনের চিকিৎসায় হাতের উন্নতি হয়। কিন্তু লাঠিপেটায় রাকিবুলের কিডনি ও ফুসফুস আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় সে মারা যায় বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
গত ২৮ জুলাই রাতে কলাপাড়া উপজেলার তেগাছিয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষরা। এ সময় রাকিবুলকে লাথি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
এই ঘটনায় ২৯ জুলাই, রাকিবুলের মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ আরও ৭ থেকে ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার পরপরই ২৯ জুলাই রাতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার থেকে এজাহারভূক্ত আসামি মো. নোমান হাওলাদার, মো. খলিল হাওলাদার, মো. নয়ন বয়াতী ও মো. রুবেল সিকদারকে গ্রেফতার করে কলাপাড়া থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্র।
/এস এন
Leave a reply