দুর্দান্ত শুরু করেও অজি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটের খরচায় ১২২ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জয় দিয়ে সফর শেষ করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ১২৩ রান। মিরপুরের লো স্কোরিং পিচে এটিকেই চ্যালেঞ্জিং মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। অন্তত সিরিজের আগের ৪টি ম্যাচ সে সাক্ষ্যই দিচ্ছে।
এর আগে মিরপুরে টসে জিতে সৌম্যের পরিবর্তে মেহেদীকে পাঠানো হয় ওপেনিংয়ে। মেহেদী ও নাঈমের ব্যাটে দারুন শুরুও করে টাইগাররা। দুজনের ব্যাটে চলতি সিরিজে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান তোলে বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো করলেও ১২ বলে ১৩ রান করে দলীয় ৪২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় মেহেদী। এরপর সাকিব আসলেও তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি নাঈম। বরাবরের মতো এই ম্যাচেও থিতু হয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন এই বাঁহাতি তরুণ। ড্যান ক্রিস্টিয়ানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন অ্যাগারের হাতে। ফেরার আগে ২৩ বল খেলে করেন ২৩ রান।
নাঈম প্যাভিলিয়নে ফেরার ৩ রান পর মাঠ ছাড়েন সাকিব আল হাসানও। আবারও মন্থর ইনিংস খেলে ২০ বলে করেন ১১ রান। জাম্পার বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বল ব্যাট মিস করে লেগে যায় সামনের পায়ে। সাথে সাথেই জাম্পার জোরালো আবেদন, কিছুটা সময় নিয়ে আঙ্গুল তুলেন আম্পায়ার। এতেই ৬০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও সৌম্য সরকারের ক্যামিওতে দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ ১৪ বলে ১৯ রান এবং সৌম্য ১৮ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেয়।
শেষদিকে আফিফ হোসেন ইনিংস শুরু করেন ড্যান ক্রিস্টিয়ানের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে। তবে বাকিদের মতো ১১ বলে ১০ তুলে মার্শের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তরুণ আফিফ। শেষ ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে শেষমেশ ৮ উইকেট খরচায় ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তুলে বাংলাদেশ।
Leave a reply