অস্ট্রেলিয়াকে ৬০ রানে হারিয়ে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেছে টাইগাররা। সাকিব, সাইফুদ্দিনের ও নাসুমের বোলিং তোপে ৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায় অজিরা। এর আগে মিরপুরে টসে জিতে দুর্দান্ত শুরু করেও অজি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২২ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ড্যান ক্রিস্টিয়ানের উইকেট তুলে নেয় স্পিনার নাসুম আহমেদ। এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরান আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকেও।
শুরুতে দুই উইকেট হারানো অজিরা ওয়েড ও ম্যাকডারমটের ব্যাটে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ২২ রান করে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড।
সেখান থেকেই শুরু হয় সাকিব আর সাইফুদ্দিনের বোলিং তাণ্ডব। দু’জনের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। সাইফউদ্দিনের এক ওভারে ফিরে যান অ্যালেক্স ক্যারি ও মোয়েজেস এনরিকেস। অন্যদিকে, টার্নাভ ও এলিসের উইকেট তুলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে। এছাড়াও জাম্পার উইকেট তুলে সর্বমোট ৪ উইকেট তুলে নেয় সাকিব। এছাড়াও, সাইফুদ্দিন ৩টি, নাসুম ২টি ও মাহমুদুল্লাহ ১টি উইকেট তুলে নেয়।
এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০তম উইকেটে তুলে নেয় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। লাসিথ মালিঙ্গার পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ উইকেট তুলে নেয় সাকিব।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে সৌম্যের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় মেহেদীকে । মেহেদী ও নাঈমের ব্যাটে দারুন শুরুও করে টাইগাররা। দু’জনের ব্যাটে চলতি সিরিজে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান তোলে বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো করলেও ১২ বলে ১৩ রান করে দলীয় ৪২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় মেহেদী। এরপর বরাবরের মতো থিতু হয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন বাঁহাতি তরুণ নাঈম। ড্যান ক্রিস্টিয়ানের বলে ফেরার আগে ২৩ বল খেলে করেন ২৩ রান। এর ৩ রান পরে মাঠ ছাড়েন সাকিবও। মন্থর ইনিংসে ২০ বলে করেন মাত্র ১১ রান।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও সৌম্য সরকারের ক্যামিওতে দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ ১৪ বলে ১৯ রান এবং সৌম্য ১৮ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেয়। শেষদিকে আফিফ হোসেনের ছক্কা হাঁকানো ইনিংসে ভর করে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তুলে বাংলাদেশ।
Leave a reply