পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে এলো চার বছরের এক বাচ্চা। বাবার সাথে প্রতিদিন সমুদ্রে নেমে বর্জ্য কুড়ানো এই ব্রাজিলের শিশুটি আলোড়ন ফেলেছে গোটা বিশ্বে। পরিবেশ এবং সামুদ্রিক প্রাণীরক্ষার জন্যই তার এ উদ্যোগ। পরিবেশবিদরা বলছেন, সবার মাঝে সচেতনতা বাড়াতে শিশুটির কার্যক্রম অনন্য উদাহরণ।
চার বছরের নিনা তার বাবার সাথে সমুদ্রে নেমেছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বর্জ্য কুড়াতে। শখের বসে দু-একদিন নয়, বরং কয়েক মাস ধরে প্রতিদিনই তারা নামছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওর সৈকতে।
সমুদ্রের আবর্জনা নিয়ে মেয়ের প্রশ্নের জবাব দিতেই শুরু হয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এজন্য দীর্ঘ সময় পানিতে থাকতে শিশুটিকে দেয়া হয় প্রশিক্ষণও।
নিনার বাবা রিকার্দো গোমেজ বলেন, সে যখন খুব ছোট, একটু একটু কথা বলতে পারে তখন সে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, মানুষ কেন এসব আবর্জনা পানিতে ফেলে। জানি না ওই বয়সে কী বুঝে এমন প্রশ্ন করেছিল। এখন ওকে নিয়ে গর্ব হয়। আগামী প্রজন্ম ওর থেকে ভালো কিছু পাবে, এটাই প্রাপ্তির।
নিনা এই বয়সেই বুঝে গেছে, পচে না এমন আবর্জনাই হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবেশ ও সামুদ্রিক প্রাণিকুলের জন্য। তাই এই কার্যক্রম সে চালিয়ে যেতে চায় আগামীতেও। এদিকে, কুড়িয়ে পাওয়া নানা আবর্জনা দিয়ে বিশাল সংগ্রহশালাও বানিয়েছে শিশুটি।
ব্রাজিলের নগর পরিষ্কার সংস্থার প্রেসিডেন্ট ফ্লাভিও লোপেজ বলেছেন, এই বয়সের একটি মেয়ের এমন কার্যক্রম আরও প্রচার হওয়া দরকার। যেন প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে। সবাই যেন পরিবেশ কে সুন্দর রাখার শিক্ষা নিতে পারে। কারণ সবার সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই পরিবেশকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব না।
পরিসংখ্যান বলছে, রিওর এই সমুদ্র উপকূলে বসবাস প্রায় ১ কোটি বাসিন্দার। তাদের ফেলা প্লাস্টিক বর্জ্যেই দূষিত হচ্ছে সমুদ্র।
Leave a reply