ডেঙ্গুর নতুন ধরন নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা

|

ডেঙ্গুর নতুন ধরনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু ও কমবয়সীরা।

করোনার মতো ধরন পাল্টাচ্ছে ডেঙ্গুও। ক্রমেই অস্বাভাবিক ও অচেনা হয়ে উঠছে এই রোগ। ডেঙ্গুর নতুন ধরন নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।

গেলো দুই বছরে সেরোটাইপ দুই ও তিন নির্ধারিত হলেও এ বছরের সেরোটাইপ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি এখনও। এছাড়া করোনাকালীন বাস্তবতায় এ সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায়, বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসা দিতে। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাতীয় শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপ আছে। একজন শিশু যদি সেরোটাইপ ১ এ আক্রান্ত হয় তবে তার মধ্যে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে তা শুধু সেরোটাইপ ১ এর বিপরীতে কাজ করবে। এখন কেউ যদি অন্য সেরোটাইপে আক্রান্ত হয় তবে সেই সেরোটাইপ ১ এর অ্যান্টিবডি তাকে সাহায্য তো করবেই না বরং ডেঙ্গুর তীব্রতা আরও বাড়াবে।

এবারের ধরনটিতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে ৫ থেকে ১৮ বছরের শিশু-কিশোররা। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানেই ভয়াবহ অবনতি হচ্ছে রোগীর অবস্থার।

ডা. প্রবীর কুমার সরকার আরও বলেন, ডেঙ্গু যে এরকম নতুন নতুন রূপ নিয়ে আসছে এর সাথে আমাদের পরিচিত হতে হবে। না হয় কাউন্সিলিং ঠিক হবে না। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

স্বাভাবিক ডেঙ্গুর সাথে মিলছে না এবারের ক্লিনিক্যাল ফিচার। এজন্য ৬ বা ১২ ঘণ্টা পরপর জরুরি হয়ে পড়েছে হ্যামাটোক্রিট ও সিবিসির মতো পরীক্ষা। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ২৪ ঘণ্টার আগে এসব রিপোর্ট পাওয়া দুষ্কর।

ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, কোনো কোনো বাচ্চা তিন দিনেই শকে চলে যাচ্ছে। আবার সকালে যার দেখছি প্লাটিলেটে দেড় লাখ, রাতেই তার ৩০ হাজারে নেমে আসছে। কাজেই এমন অপ্রত্যাশিত হয়ে উঠলে সবকিছু জটিল হয়ে পড়ে।

ডেঙ্গুর জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। তাই ঝুঁকি না নিয়ে পরিপূরক ব্যবস্থাপনাই প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply