ফরিদপুর প্রতিনিধি:
পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন, ভাঙচুর করা হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর। ঘটনাস্থল থেকে সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে ও রাতে দুই দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানা গেছে।
কানাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনু মিয়া জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত ফকির এর দলের বাইরে কেউ গেলেই তাকে হামলা, মামলার শিকার হতে হয়। এখানে আওয়ামী লীগ মানে বেলায়েত ফকিরের লীগ। এরই জেরে গতকাল বুধবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় রনকাইল গ্রামে বেলায়েত ফকিরের লোকজন হামলা করে। প্রতিপক্ষের শতাধিক বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে এসব বাসার টিভি, ফ্রিজ, মটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। একটি প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করেছে তারা।
এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কাইয়ুম, রফিক খাঁ, মোহাম্মাদ খাঁ, আহম্মদ খাঁ, উজ্জল খাঁ, মুরাদ খাঁ ও জামশেদ খাঁ কে ফরিদপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে মোহাম্মাদ খাঁ এর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
অপরদিকে, বেলায়েত ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলার সাথে আমার কোনো লোকজন বা আমি জড়িত নই। এই গ্রামের রাজনীতিতে দুইটি পক্ষ আছে, তারাই পূর্ব শত্রুতার জেরে মারামারি করেছে। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি পক্ষ।
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ জলিল জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান বেলায়েত ফকির ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব এর সমর্থকদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এই ভাঙচুর ও হামলার সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পরবর্তীতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
/এসএইচ
Leave a reply