গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিণতি জানতে চেয়ে জাতিসংঘের দেয়া চিঠির জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ

|

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের অবস্থান ও পরিণতি জানতে চেয়ে জাতিসংঘের দেয়া চিঠির জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অভিযোগ, পৃথিবীর আরও অনেক দেশে গুম-খুন বেশি হলেও কেবল বাংলাদেশের ওপরই খবরদারি করে তারা।

এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, নিজেদের স্বার্থেই নিখোঁজদের সঠিক তথ্য বের করতে হবে রাষ্ট্রকে। সরকার সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে জাতিসংঘ প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেত না।

এক দশকেরও বেশি সময়ে, নিখোঁজ হয়েছেন বেশকিছু মানুষ। অনেকের পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা গুমের শিকার। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। জানতে চেয়েছে, তারা কোথায় আর কি অবস্থায় আছে।

মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, গুমের মত অপরাধকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে দৃশ্যমান ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার, রাষ্ট্রকেই সে তদন্তের দায়িত্ব নিতে হবে এবং তদন্তের কাজ পরিচালনা করতে হবে। এবং এক্ষেত্রে এই ভূক্তভোগীদের আসলে কি হয়েছে তা দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলকেও জানাতে হবে, এটা আসলে রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গুমের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশেই ঘটছে। এমনকি ভারত-পাকিস্তানের ঘটনা নিয়েও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তেমন উদ্বিগ্ন নয়। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের বাড়তি মাথা ব্যথায় বিরক্তি প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, দুনিয়ার সব দেশেই এগুলো হয় কমবেশী, কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু তাদের বেশি সম্মান দেয় তাই তারা কন্টিনিউয়াসলি আমাদের হ্যামার করে। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান নিয়ে তারা কোনো কথা বলেনা, কিন্তু
আমরা যেহেতু পাত্তা দেই তাই তারা আমাদের নিয়ে সারাক্ষণ বলে বেড়ায়। খোদ আমেরিকায় এ বছর ১০০৪ জনকে মেরে ফেলেছে, এর আগের বছর এ সংখ্যা ছিলো ৯৯৬- কই এসব নিয়ে তো জাতিসংঘ কোনো কথা বলেনা!

জাতিসংঘ থেকে পাওয়া নামের তালিকা এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জবাব পাঠানো হবে বলে জানান ডক্টর মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আমরা খুবই অ্যাকোমোডেটিভ রিপ্লাই দেবো তাদেরকে। আমরা চাইনা বিনা বিচারে একটা লোকও মারা যাক কিন্তু না চাইলেও এটা দুনিয়ার সব জায়গায়ই হচ্ছে। কিন্তু ওসব দেশের কথা কেউ বলে না কেন!

আগে একাধিকবার জাতিসংঘ এ বিষয়ে জানতে চাইলেও উত্তর দেয়নি বাংলাদেশ। তদন্ত করতে তারা ঢাকা আসতে চাইলেও সাড়া না দিয়ে গুমের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সরকার।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply