দেখতে তিনি অপরূপ ‘কৃষ্ণ কলি’। একজন সুপার মডেলও। হয়তো ভাবছেন, সুপার মডেল নাওমি ক্যাম্বেলের মতো নতুন করে কোনো তারকার আর্বিভাব হয়েছে বোধ হয়।
ভাবনা একেবারে অমূলক নয়, আবার পুরোপুরি সত্যও নয়। এখানে এসেই পুরো বিষয়টা গোলমেলে ঠেকছে তো। পরিস্কার করে দিচ্ছি, সুতনুর অধিকারী এই ‘কৃষ্ণ কলি’ সুপার মডেল হলেও নাওমি ক্যাম্বেলে মতো রক্ত-মাসে গড়া নন। তিনি পুরোদস্তুর ডিজিটাল।
এই অবধি এসে হয়তো ভাবছেন, বুঝেছি; হলিউডে ‘ট্রন’ ঘরানার কোনো সিনেমা নিয়ে কথা হচ্ছে। আদতে একদম না!
এই ‘কৃষ্ণ কলি’র নাম সুদু গ্রাম, এবং তিনি পুরোপুরি ‘মেইড বাই কম্পিউটার।’ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণ মাধ্যম ইন্ডিপেডেন্ট সুদু গ্রামকে ‘বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল সুপার মডেল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
তারকা আলোকচিত্রী ক্যামেরন জেমস উইলসন এ ‘কৃষ্ণাঙ্গ দিভা’র উদ্ভাবক। তিনি বলেন, “বিষয়টি হচ্ছে আমি তাই করেছি, যা আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমি প্রযুক্তি, সাই-ফাই সিনেমা, গেমিং, সিজিআই সিনেমা ভালোবাসি। এই সবগুলো ভালোবাসি সম্মিলিত সৃস্টি সুধু।”
সুদু-এর জন্য ইনস্টাগ্রামে গত বছরের এপ্রিলে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ২৮ বছর বয়সী জেমস। বর্তমানে সুুধু-এর ফলোয়ারের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি।
সম্প্রতি তিনি স্বীকার করেছেন সুদু পুরোপুরি কম্পিউটারে তৈরি। এরপরই এ নিয়ে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন, বিশেষ মডেলের গায়ের রঙ কালো হওয়ার জন্য। এর জবাবে জেমস বলেন, “অনেকে মন্তব্য করেছেন, তার সৌন্দর্য দুর্লভ। কিন্তু পুরো মহাদেশের সুন্দরীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হওয়ায় প্রতিচ্ছবি সে।
তিনি আরও বলেন, “হ্যাঁ আমার কাছে সে স্পেশাল, বাস্তব জীবনের কোটি কোটি আফ্রিকার নর-নারীর মতো। কল্পলোকের সে, বাস্তবতায় প্রবেশ করতে চাইছে। আমি তাকে সাহায্য করবো।”
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply