প্রথম একজন দলিত হিন্দু নারী হিসেবে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণা কুমারি কোহলি। শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩৯ বছর বয়সী কোহলি জয়ী হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম।
গত মাসে বিলওয়াল ভূট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সিন্ধু আইন পরিষদের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ সিনেটের একটি আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়। সিন্ধু প্রদেশের থর এলাকার নানগারপারকার গ্রামের বাসিন্দা কোহলি ১৯৭৯ সালে এক গরীব কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন।
তিনি যখন শিশু ছিলেন তখন এক ভূস্বামীর পরিচালিত জেলে তাকে তিন বছর বন্দি থাকতে হয়েছিল। সেখানে তার পরিবারের অন্যান্যরাও বন্দি ছিলেন এবং দাস শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
১৬ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি পড়াশুনা চালিয়ে যান। পরে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একজন সামাজিক আন্দোলনকারী হিসেবে তিনি পিপিপিতে যোগ দেন। এরপর থরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করতে শুরু করেন।
কৃষ্ণার ভাই ভীরজি কোহলি একজন নামকরা মানবাধিকার কর্মী। সিন্ধুর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে তিনি খ্যাতিমান হন। পিপিপি-র এই নেতা এবং নানগারপারকার ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ভীরজি হায়দ্রাবাদের কারাগারে ১১ মাস থাকার পর শনিবার মুক্তি পান।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো নিয়মিত আসনে একজন অমুসলিম দলিতকে সিনেটর নির্বাচিত করে পিপিপি। কৃষ্ণা কোহলিসহ ছয়জন অমুসলিম বর্তমানে বিরোধী এই দলটি থেকে মুসলমি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন।
Leave a reply