পৌর কাউন্সিলরকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন

|

পৌর কাউন্সিলরকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবির খানকে উপর্যুপুরি কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় পৌর এলাকার পালবাড়ি সড়কে কাউন্সিলর কুদ্দুস হাওলাদারের বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে রাত ৯টায়। বন্ধুদের নিয়ে শুক্রবার পেয়ারাবাগান পিকনিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো কাউন্সিলর হুমায়ুনের ছেলে আবিদ খান (১৭)। পিকনিকের প্রস্তুতিতে বাধা এবং কথা কাটাকাটি হয় কিশোর বয়সী আরেকটি গ্রুপের সাথে। সেই গ্রুপটি কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে। এ নিয়ে দুপক্ষে হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরবর্তীতে কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের পালবাড়ির বাসায় হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী রুমা বেগমকেও আহত করা হয়।

ঘটনার সময় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খান পশ্চিম ঝালকাঠি ফেরিঘাট এলাকায় অন্য বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তাকে বাসা থেকে খবর দেয়া হলে রাত ১১টার দিকে অতুল মাঝির খেয়া পার হয়ে পালবাড়িতে আসার পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা হুমায়ুনকে উপর্যুপুরি পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। এতে তার বাম হাতের কব্জি দুই ভাগ হয়ে যায়। আহত কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খানকে চিকিৎসার জন্য ঝালকাঠি থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাত দেরটায় তাকে সেখান থেকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল শরীফের ভাই ইদ্রিস শরীফ, ইলিয়াস শরীফ এবং জামাল শরীফ ২০/২৫ জন লোক নিয়ে এসে এ হামলা চালিয়েছে। পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে কাউন্সিলর ও তার পবিবারের সদস্যদের। সেইসাথে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বসতঘরে।

কাউন্সিলর কামাল শরীফ বলেন, এলাকায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, গ্যাঞ্জাম ও চুরি যা কিছুই ঘটুক না কেনো, সব সময় হুমায়ুন কবির গংরা আমাকে এবং আমার ভাইদেরকে দোষারোপ করে আসছে। কাউন্সিলর হিসেবে আমার কাজে বাধাগ্রস্ত করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য বলে আমি মনে করি। হুমায়ুন কবিরকে যেভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এটা কখনোই কাম্য নয়। আমি বা আমার কোনো ভাই এ ঘটনায় জড়িত থাকলে সকল বিচার মাথা পেতে নিবো। কিন্তু যারা এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ করে আমাদের ওপর মিথ্যে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে, তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক। আমি কাউন্সিলর হিসেবে এলাকায় শান্তি চাই।

ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খলিলুর রহমান বলেন, এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তার কোনো প্রমাণ এখনও পাইনি। তাই আপাতত ধরে নিচ্ছি অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে। থানায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ মুহূর্তে পালবাড়ি এলাকায় সহিংসতা এড়িয়ে শান্তিময় পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply