চন্দ্র অভিযানে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর প্রথমবারের মত চাঁদের বুকে পা রাখতে চলেছেন দুই মুসলিম নভোচারী নূরি আল মাতরুশি (২৮) ও মোহাম্মদ আলমুল্লাহ (৩২)।
তারা দুজনই আরব আমিরাতের নাগরিক। তাদের নিয়েই নিজেদের প্রথম চন্দ্রাভিযানে যাচ্ছে এই আরব দেশটি। অভিযান সফল হলে রেকর্ড হবে কয়েকটি। তারাই হবেন চাঁদের বুকে পা রাখা প্রথম দুই মুসলিম। আর নূরী আল মাতরুশি হবেন চাঁদের বুকে পা রাখা প্রথম নারী।
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ মিশনের মাধ্যমে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে পা রাখে মানব জাতি। এরপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত হওয়া চন্দ্রাভিযানগুলোর মাধ্যমে চাঁদের বুকে হেঁটে এসেছেন মাত্র ১২ জন মানুষ। তবে তাদের সবাই-ই ছিলেন পুরুষ। ১৯৬৯ সালে চন্দ্রজয়ের পর কেটে গেছে ৫০ বছর, এই ৫০ বছরে কোনো নারী কখনও হাঁটেননি চাঁদের বুকে। তবে এবার সে রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছেন নূরি আল মাতরুশি। আর স্পেসশিপে ওঠামাত্র নূরি আল মাতরুশি হবেন মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া প্রথম মুসলিম নারী।
আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে তাদের চন্দ্রাভিযানের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। দুই মহাকাশচারী নূরি ও আলমুল্লাহকে প্রশিক্ষণ নিতে খুব শীঘ্রই পাঠানো হবে আমেরিকাতে অবস্থিত নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে।
এদিকে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মহাকাশ যাত্রার আগে খুবই উচ্ছ্বসিত নূরি আল মাতরুশি। তিনি বলেন, ছোটবেলায় খেলার জন্য কাগজ আর কার্ডবোর্ডের বাক্স দিয়ে স্পেসশিপ বানাতাম, স্বপ্ন দেখতাম সেই স্পেসশিপে করে মহাকাশে যাওয়ার। চাঁদে যাওয়ার কাল্পনিক খেলা খেলতাম। মাকে বলতাম সেসব কথা। তবে এবার সত্যি সত্যিই চাঁদে যাচ্ছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে যাচ্ছি। সেখানেই শুরু হবে টানা দুই বছরের প্রশিক্ষণ। চাঁদ অথবা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে শেষ পর্যন্ত যেতে পারলে আমার অন্তরে লুকিয়ে থাকা শিশুটিই বোধহয় সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন নিয়ে একটি ডকু ফিল্ম দেখার পর স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে করতে আগ্রহী হন নূরি। এরপর দুর্দান্ত ফলাফল করে অর্জন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। তারপর চাকরি করেছেন একটি পেট্রোলিয়াম শিল্প সংস্থায়। আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মহাকাশচারী খুঁজছে জানতে পেরে সেখানে আবেদন করেন নূরি। বাছাই প্রক্রিয়া ও অন্যান্য পরীক্ষার পর আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তাকে বেছে নেয়।
/এসএইচ
Leave a reply