বিধিনিষেধ শিথিল করায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির উদ্বেগ

|

দ্রুত বিধিনিষেধ শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২৩ জুলাই থেকে ১০ আগস্টের লকডাউনে কিছু অপূর্ণতা থাকলেও সংক্রমণের হারে কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা গেছে, তবে সংক্রমণ এবং মৃত্যু কোনোটির হারই স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আসেনি। এমন অবস্থায় সরকার বিধি-নিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলো।

বিবৃতিতে ওই কমিটি সাধারণ মানুষের জীবিকা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার ব্যাপারে সরকারের দায়িত্ব উপলব্ধি করে সরকারের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করে। সেই সাথে বিধিনিষেধ শিথিল করার ক্ষেত্রে সরকার কিছুটা তাড়াহুড়ো করেছে বলেও মন্তব্য করে কমিটি। পাশাপাশি এর ফলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং তাতে অর্থনীতি আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে বলেও মনে করেন তারা।

লকডাউন আরও অন্তত ১ থেকে ২ সপ্তাহ চলমান রাখতে পারলে এর পুরোপুরি সুফল পাওয়া যেতো বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

এ অবস্থায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করে।

এক সপ্তাহে ৫০ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানানো হয় বিবৃতিতে। এছাড়া জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভা গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বলেও জানানো হয়। এই কাজকে আরও সহজ করার ব্যাপারে পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ ২১ আগস্ট বা কাছের যেকোনো দিন থেকে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষ ও পঞ্চম বর্ষ, শেষ বর্ষের ক্লাস চালু করার বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত চেয়ে পত্র পাঠিয়েছে। কমিটি জানায়, যেহেতু ইতোমধ্যে এ সব ছাত্র/ছাত্রীদের দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে প্রাথমিকভাবে ওই দুই বর্ষের ক্লাস শুরু করা যেতে পারে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply