সবকিছু খুলে দেয়ায় আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এক থেকে দুই সপ্তাহ পর প্রভাব পড়বে আক্রান্তের সংখ্যায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সবকিছু খোলা রেখে করোনার মতো মহামারি ঠেকানো কঠিন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনে আবারও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ঈদের ছুটির পর লকডাউনের প্রথম দিন ২৩ জুলাই করোনায় প্রাণ হারার ১৮৭ জন। নতুন করে শনাক্ত হন তিন হাজার ৭০০ জন।
১০ আগস্ট প্রাণ হারান ২৬৪ জন। নতুন করে শনাক্ত হন ১১ হাজার মানুষ। তবু জীবিকার তাগিদে পরদিন খুলে দেয়া হয় লকডাউন। ঘোষণা আসে পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়ার।
মানুষের অবাধ চলাচলের প্রভাব পড়বে করোনা সংক্রমণে। আর দুই সপ্তাহের মধ্যেই তা দৃশ্যমান হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফজলে রাব্বী বলেন, সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে আসলে আংশিকভাবে খোলা যায়। আর তা যদি টানা দুই থেকে চার সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকে তবে বলা যায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ লকডাউন থাকলে হয়তো সংক্রমণের হার নিচে নেমে আসতো। আগামী এক দুই সপ্তাহ সংক্রমণের হার কমার দিকে থাকলেও সব খুলে দেয়ায় সামনে আবার তা বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, লকডাউন স্থায়ী সমাধান নয় তবে সাময়িক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ব্যবস্থা দরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এ অবস্থায় করোনা নিয়ন্ত্রণ কঠিন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিম সুলতানা বলেন, আমাদের জীবন-জীবিকার স্বার্থে লকডাউন তুলে দেয়া হলো। কিন্তু, বিজ্ঞান বলছে যে এভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। আমরা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
লকডাউন তুলে নেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
/এস এন
Leave a reply