ঘর থেকে তুলে নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

কাপাসিয়া থানা।

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অজ্ঞাত তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার নয়াসাঙ্গুন গ্রামে এঘটনা ঘটে। রোববার (১৫আগষ্ট) অজ্ঞাত তিনজনকে অভিযুক্ত করে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তিনি ৮/১০মাস আগে লেবানন থেকে দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন এবং ছাত্রীর মা বর্তমানে লেবানন প্রবাসী। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসা ছাত্রী তার দাদীর সাথে টিনের বেড়া ঘেরা একই বিছানায় ঘুমান ও তিনি তার দোকানে ঘুমান। রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে অজ্ঞাত নামা তিনজন লোক কৌশলে টিনের ঘরের দরজার শেকল খুলে ঘরে ঢুকে ছাত্রীর দাদীকে মুখ ও পা বেঁধে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা স্কুলের আশপাশে খুঁজাখুঁজি করেন। খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ির পাশে মসজিদ থেকে স্কুল ছাত্রীকে আসতে দেখতে পান।

ফিরে এসে ভুক্তভোগী তাদের জানায়, অজ্ঞাতনামা তিনজন লোক ছুরি দেখিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় তাকে। রাত তিনটার দিকে নয়াসাঙ্গুন পূর্বপাড়া হতে ঘোষেরকান্দি সড়কের রফিকুল মেম্বারের পান ক্ষেতের পাশে কাঁচা রাস্তার উপর শার্ট লুঙ্গি পরা ব্যক্তি অপর দুই লুঙ্গি পরা ব্যক্তিদের সহায়তায় তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগীর বাবা আরও জানান, প্রতিবেশী মৃত কাদির মাষ্টারের ছেলে মোক্তার হোসেন (৫০) এর সাথে দীর্ঘদিনের পূর্বশত্রুতা রয়েছে। তার ধারণা মোক্তার এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানান স্কুল ছাত্রীর বাবা।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলম চাঁদ বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে পুলিশের একাধিক দল ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।