ভিয়েতনাম সফরে যাচ্ছে পরমাণু চালিত ৯০টি বিমান বহরে সক্ষম মার্কিন রণতরী কার্ল ভিনসন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর এটি কোনো মার্কিন রণতরীর দেশটিতে প্রথম সফর।
রণতরীটি বন্দর নগরী ডানাং-এ নোঙ্গর করা কথা রয়েছে। এই বন্দরেই ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন সৈন্যরা প্রথম দেশটিতে অবতরণ করেছিল।
এই সফর মার্কিন-ভিয়েতনাম সামরিক বন্ধন বৃদ্ধির ইঙ্গিত বহন করে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা অবশ্যই দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি বার্তা।
চীন বর্তমানে এই অঞ্চলের প্রকৃত সুপার পাওয়ার, এবং ভিয়েতনামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার।
ডানাং-এ অবস্থানকারী বিবিসি’র জোনাথান হেড জানিয়েছেন, মার্কিন-ভিয়েতনাম সামরিক সহযোগিতা বাড়লেও এটি এখনও সীমিত আকারে রয়েছে। এই সফর (মার্কিন রণতরী) বিষয়ে ভিয়েতনামকে সতর্কতার সাথে সামলাতে হবে।
হেড আরও জানিয়েছেন, বৃহৎ প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে সতর্ক রয়েছে ভিয়েতনাম।
দক্ষিণ চীন সাগরে পার্সেল ও স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীনের সঙ্গে ভিয়েতনামের বিরোধ রয়েছে। চীন এ সাগরের প্রবাল প্রাচীর ও দ্বীপপুঞ্জসহ পুরো এলাকা নিজেদের দাবি করছে।
অপরদিকে চীনের এ দাবির বিরোধীতা করছে বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার বিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো পক্ষের হয়ে কথা না বললেও দেশটির নৌবাহিনী তথা-কথিত ‘স্বাধীন নৌ-চলাচল’ অভিযানের আওতায় বিরোধপূর্ণ জলসীমায় প্রবেশ করছে। এ ধরনের কার্যক্রম চীনের ভূখণ্ডগত পরিকল্পনার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ডানাং ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। ভিয়েতনাম সরকারের হিসাবে মারাত্নক রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে বেসামরিক ও কমিউনিস্ট যোদ্ধাসহ লাখ লাখ লোক নিহত হয়েছিল। অপরদিকে ৫৮ হাজার মার্কিন সৈন্য নিহত অথবা তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply