সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি বরিশাল আওয়ামী লীগের

|

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা ও গোলাগুলির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে সিটির কালীবাড়ি মোড়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তুলেন বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন, শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে অপতৎপরতা চলছে। এসময় ইউএনও’র অপসারণ দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। রাতের বেলা পোস্টার অপসারণের বিষয়ে সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাবি করেন, আইনে এর বৈধতা আছে।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, এটি একটি বর্বরোচিত হামলা। আমাদের শান্তিপ্রিয় বরিশালকে অশান্ত করা এবং এখানের রাজনীতিকে কলুষিত করার লক্ষ্যে অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

অন্যদিকে, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম জাহাঙ্গীর বলছেন ইউএনও’র বাসায় কেউ হামলা করেনি। তিনি বলেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত। যদি তার বাড়িতে হামলা করা হতো তাহলে তার ঘরে ইট-পাটকেল পড়তো, বাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হতো। আমি শেষ পর্যন্ত সেখানে ছিলাম। কোনো ধরনের ইট-পাথর সেখানে ছিল না।

রাতে অভিযানের বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান, আমাদের বেশিরভাগ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান রাতেই হয়। কারণ দিনের বেলায় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়, তাছাড়া গাড়ি চলাচলের কারণে সুযোগও হয়না। তাই রাতের বেলায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে। আর রাতে অভিযান নিয়ে কোনো বাধা-নিষেধ নাই। রাতে আমরা অভিযান আগেও করেছি।

গতকাল বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে পোস্টার অপসারণ নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীদের তর্ক বাঁধে। ঘটনার একপর্যায়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সাথেও বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গুলি চালায় আনসার সদস্যরা।

এরই জের ধরে, ইউএনওর বাসায় হামলা চালানো হয়। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ ও বরিশালের আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে তুমুল হট্টগোল তৈরি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ করে এবং প্রায় দুই ঘণ্টার ধাওয়া পালটা ধাওয়া শেষে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে বরিশাল শহরজুড়ে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply