বাসার কাজের প্রয়োজনে গৃহপরিচারিকা কিংবা নিরাপত্তাকর্মী-দারোয়ান, ড্রাইভার অথবা গৃহশিক্ষক কতো মানুষকেই রাখতে হয়। রাখতে হবেও ভবিষ্যতেও। তবে, এবার চমকে ওঠার মতো তথ্য দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। বাসার এসব কর্মচারীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে রাজধানীর বাসাবাড়িতে হচ্ছে ডাকাতি। তাই এসব কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছে তারা।
রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে এমনই এক ডাকাত চক্রকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, নানা তথ্য নিয়ে বাসার এসব লোকদের যোগসাজশে ডাকাতি করছিল চক্রটি। গভীর রাতে বাসায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে মালিককে জিম্মি করে ডাকাতি করতো তারা। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলাও।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, কিছু বুয়া, দারোয়ান, ড্রাইভার থাকে যারা এসব ডাকাত চক্রকে তথ্য দেয়। তথ্য পেয়ে ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার আছে এমন বাসায় ঢুকে পড়ে এবং মালিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সব লুট করে নিয়ে যায়।
প্রযুক্তি আধুনিক হচ্ছে,মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আধুনিক হচ্ছে। তেমনি অপরাধীরাও আধুনিক হচ্ছে। পুলিশের কাছে ডাকাতদের এই কর্মকাণ্ড নতুন বলে মনে হচ্ছে। আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা বলছে, এরা প্রশিক্ষিত, প্রয়োজনমত নানা কৌশল অদলবদল করে ডাকাতি করতো। ডাকাতির সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করেছে ডিবি।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, আমরা একটি ডাকাত দলের চারজনকে ধরেছি। তাদের নামে একাধিক মামলা আছে। ডাকাতির কাজে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, তালা কাটার সরঞ্জামসহ বেশকিছু জিনিস আমরা উদ্ধার করেছি।
ডাকাতির পর বাসার লোকজনকে বেঁধে দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যেতো ডাকাতরা। গৃহশিক্ষক, গৃহপরিচারিকা, নিরাপত্তাকর্মী, দারোয়ান ও গাড়ি চালকসহ অন্যান্য লোক নিয়োগে ও তদারকির বিষয়ে বাড়ির মালিককে সতর্ক থাকার পরামর্শ পুলিশের।
/এস এন
Leave a reply