মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখলো পাশে মায়ের গলাকাটা লাশ

ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।

স্টাফ রির্পোটার, নেত্রকোণা:

প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন শরিফা আক্তার (৩৫)। সকালে ঘুম থেকে জেগে মেয়ে দেখে পাশে মায়ের গলাকাটা মরদেহ।  তার চিৎকারে এগিয়ে আসে আশপাশের লোকজন।

শনিবার (২১ আগস্ট) এমনই এক ঘটনা ঘটেছে  নেত্রকোণা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাংসা গ্রামে। স্থানীয়দের খবরের প্রেক্ষিতে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ ও ময়মনসিংহের সিআইডি পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে বেলা ১২টার দিকে নিহতের মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত শরিফা আক্তার কাংসা এলাকার মৃত মহর আলীর মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের সাজিউড়া গ্রামের রিপন মিয়ার (৪২) স্ত্রী। তার স্বামী রিপন মিয়া গত তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৩) স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর ছেলে রিফাত মিয়া (৭) সদর উপজেলায় একটি মাদরাসায় থেকে লেখাপড়া করে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরিফা আক্তার বিয়ের কিছু দিন পর থেকে বাবার বাড়ির পাশে ঘর বেধে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাতের খাবার খেয়ে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সকালে মেয়ে ঘুম থেকে জেগে মায়ের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, নেত্রকোণা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল ঘটনাস্থল থেকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার রহস্য উন্মোচনসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

/এস এন