হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ করোনা রোগীর মরদেহ মিললো ডোবায়

|

হাসপাতালসংলগ্ন এই ডোবা থেকে ওই করোনা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চারদিন ধরে নিখোঁজ করোনা রোগীর মরদেহ হাসপাতালের পেছনের পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ওই ব্যক্তির লাশ ডোবায় পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। মৃত ব্যক্তির নাম সোনা মিয়া ফকির (৭০)। তিনি জাজিরা পৌরসভার পূর্ব আড়াচন্ডি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মৃত সোনা মিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিখোঁজ হয়েছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোনা মিয়ার ১০ আগস্ট করোনা পজেটিভ ধরা পরে। ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা গত ১২ আগস্ট তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ১৬ আগস্ট গভীর রাতে তিনি করোনা ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হন। পরের দিন তার স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির করে। সন্ধান না পেয়ে তার ছেলে রহমান ফকির জাজিরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

সোনা মিয়া ফকিরের ছেলেেে আব্দুর রহমান ফকির বলেন, করোনা ওয়ার্ডে রোগীর অনেক চাপ। তাই রাতে বাবাকে রেখে বাড়ি যাই। সকালে ফোন দিলে বাবা ফোন ধরে নাই। পরে হাসপাতালে এসে বাবাকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। মাইকিং করা হয়। এরপর থানায় গিয়ে একটি জিডিও করি। চার দিন পর বাবার মৃতদেহ পেলাম। কি কারণে আমরা বাবাকে হারালাম জানতে চাই। এর বিচার চাই।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা রোমান বাদশা বলেন, সোনা মিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ আগস্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। ১৬ আগস্ট গভীর রাতে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলাম। শনিবার সকালে স্থানীয়রা হাসপাতালের পাশের একটি পুকুরে দেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর
দেয়।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, হাসপাতাল থেকে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী নিখোঁজ এমন মর্মে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply