সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন আমলে নিয়ে তা গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২২ আগস্ট) সকালে মামলা আমলে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়।
এর আগে ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম, এসআই শাহজালাল মল্লিক ও ইউএনও’র বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যসহ অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন বরিশাল সিটির প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং ইউএনও মুনিবুর রহমান শোভন ও আনসার সদস্য সহ ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার আবেদন করেন সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। দুটি মামলাই আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে একই আদালতে ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকর্মীর জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারা হেফাজতে রেখে সুচিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বাসভবনে হামলার অভিযোগে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে বরিশাল নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছিলেন ইউএনও মুনিবুর রহমান।
বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে পোস্টার অপসারণ নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীদের তর্ক বাধে। ঘটনার একপর্যায়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সাথেও বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় গুলি চালায় আনসার সদস্যরা।
এরই জের ধরে ইউএনওর বাসায় হামলা চালানো হয়। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ ও বরিশালের আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে তুমুল হট্টগোল তৈরি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ নির্বিচারে সেখানে লাঠিচার্জ করে প্রায় দুই ঘণ্টার ধাওয়া পালটা ধাওয়া শেষে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউএইচ/
Leave a reply