কৃষক থেকে সাধক, আসলে প্রতারক!

|

প্রতারক ইব্রাহিম চিশতি ওরফে বেদার মোল্লা।

জ্বিন-ভূত তাড়ানো কিংবা চাকরির তদবির; এজন্য মন্ত্র একটাই, লাগবে বাঘের চামড়া। দিতে না পারলে গুনতে হবে টাকা। সম্প্রতি এভাবে একজনকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা নিলে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের ইব্রাহিম চিশতি ওরফে বেদার মোল্লার প্রতারণা ধরা পড়ে। বেরিয়ে আসে তার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব বহু পরিবারের কাহিনী।

পেশায় একজন কৃষক ছিলেন বেদার মোল্লা। ২০১৪ সালে নিজ গ্রাম খারোইখালী গ্রামে হঠাৎ সাধক বেশে তার আবির্ভাব। স্থানীয়দের কাছে পরিচিতি পান ইব্রাহিম চিশতি নামে।

তার কিছুদিন পরই শুরু করেন জটিল ব্যাধি সারানোর চিকিৎসা। জ্বীন-ভূত তাড়ানোর পাশাপাশি অনেকে আসতেন চাকরির তদবির নিয়ে। সফল হতে ইব্রাহিম চিশতির টোটকা, এনে দিতে হবে বাঘের চামড়া। আর তা না পারলে বদলি হিসেবে দিতে হবে বড় অংকের টাকা।

সম্প্রতি একজনকে মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিলে ধরা পড়ে তার ভণ্ডামি। একে একে বেরিয়ে আসে বেদার মোল্লার প্রতারণার নানা ঘটনা। এসব জানাজানি হওয়ার পর থেকেই পলাতক বেদার। ফোনে দাবি করেন, রোগ নিরাময়ের কিছু দাওয়াই তিনি দিলেও, টাকা নেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

চিকিৎসা এবং আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।বেদার মোল্লার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে ইতোমধ্যে। তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply