যারা দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য একটি মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না, তারা নাকি আবার গণঅভ্যুত্থানের রঙিন খোয়াব দেখছে! আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমন কথা বলেছেন।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক জাতীয় শোক দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাদের গণ-অভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন জনগণ তো দূরে থাক, তাদের দলের কর্মীরাও এখন আর মাঠে নামে না, কারণ তাদের নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের কোনো আস্থা নেই।
সরকার নাকি জনবিচ্ছিন্ন, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন সরকার নয়, বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন এবং জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত। বিএনপি এই বাস্তবতা বোঝার সক্ষমতাও হারিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনার সাথে আওয়ামী লীগ নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পক্ষান্তরে বিএনপি ক্ষমতাকেন্দ্রিক সুবিধাবাদী রাজনীতি ও লুটপাটে বিশ্বাসী। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই তাইতো তারা কোথাও দাঁড়াতে পারছে না বলেও দাবি ওবায়দুল কাদেরের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর শুরু হয় ইতিহাসের উল্টো পথে যাত্রা, ফিরে আসে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির ধারা। তিনি বলেন, তখন জাতীয় জীবন ও রাষ্ট্রীয় পরিসর থেকে নির্বাসিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ। সে সময় স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠককে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। ইতিহাসের ফুটনোট জিয়াউর রহমানকে ইতিহাসের নায়ক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করা হয় বলেও জানান তিনি।
সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ডক্টর সুলতানা শফির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডক্টর তানিয়া হক।
Leave a reply