ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানো নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছিলো জাতিসংঘ। তবে অবশেষে সেখানে রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে তারা। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভাসানচরে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি।ইউএনএইচসিআর কক্সবাজারের মতোই স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করবে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হবে সরকার ও ইউএনএইচসিআরের মধ্যে। এছাড়া ভাসানচরে কোনো মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের পাশপাশি ভাসানচরে আবাসনের ব্যবস্থা করে সরকার। এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও কয়েক দফায় প্রায় ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে ভাসানচরে স্থানান্তরিতদের কেউ কেউ পাচারের শিকার হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ এখনও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াকেই সমাধান মনে করে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বলে তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
Leave a reply