তালেবানের বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ আফগান নারী পুলিশের (ভিডিও)

|

ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নেয়া।

আফগানিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা একজন নারী দাবি করেছেন, তালেবানরা মৃত নারীদের ধর্ষণ করেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটিন বলছে, ওই নারীর নাম মুসকান। মুসকান আফগানিস্তানের পুলিশ বাহিনীতে কাজ করতেন বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। তিনি তালেবানের ভয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছেন এবং এখন নয়াদিল্লিতে বাস করছেন। খবর ওপিইন্ডিয়ার।

ভারতের ওই সংবাদমাধ্যমকে মুসকান জানান, তালেবান সদস্যরা নারীদের তুলে নিয়ে যেত। তাদের হত্যা করত। এমনকি তালেবান সদস্যদের মৃতদেহ ধর্ষণ করারও নজির আছে বলে দাবি করেছেন মুসকান।

মুসকান আরও জানান, সেখানে (আফগানিস্তানে) আমরা নানা রকম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছি। আমাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হতো। সেখানকার পরিস্থিতি এমন ছিল যে, নারী কাজে যেতেন আর তার পরিবার ঝুঁকির মধ্যে থাকতেন।

আরও পড়ুন: কাবুলের আকাশ থেকে বিমান ছিনতাই

এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলে তালেবান নারীদের স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পুরুষ আত্মীয় ছাড়া নারীদের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি বাইরে বের হওয়ার সময় নারীদের চেহারা দেখানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল।

তবে এবার নিজেদের রক্ষণশীল মনোভাব থেকে অনেকটাই সরে এসেছে বলে দাবি করছে তালেবান। কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক দফতরের উপ- প্রধান আব্দুস সালাম হানাফি নারী চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এই আশ্বাসের পরও আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ে কাবুল না ছাড়লে কঠিন পরিণতি হবে: তালেবান

কিছুদিন আগেই তালেবানের ভয়ে ছাত্রীদের রেকর্ড পুড়িয়ে দিয়েছেন আফগানিস্তানের একমাত্র মেয়েদের বোর্ডিং স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শাবানা বাসিজ-রাসিখ। তালেবান সদস্যরা যেন এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের খোঁজ না পায় তাই এসব রেকর্ড পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাবানা।

অন্যদিকে, তালেবানের হাত থেকে বাঁচতে আফগান নারী ফুটবলারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে থাকা নিজেদের অ্যাকাউন্ট ও পাবলিক পরিচয় মুছে ফেলার আর জার্সিসহ সব খেলার সরঞ্জাম পুড়িয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন আফগান নারী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক খালিদা পোপাল।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply