অচিরেই বাজারে আসছে ইলিশের নুডলস আর স্যুপ

|

ইলিশ মাছের নুডলস ও স্যুপ তৈরির প্রযুক্তি ভার্গোফিস এন্ড এ্যাগ্রো প্রসেসেস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ মৎস্য অধিদফতরের আয়োজনে এক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয়।

মৎস্য অধিদপ্তর ও ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ইকোফিস প্রকল্পের মাধ্যমে ইলিশের নুডলস ও স্যুপ তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ইউএসএআইডি। এটিই বিশ্বে ইলিশ মাছ নিয়ে তৈরি প্রথম প্রযুক্তি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিসারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. নওশাদ আলম ইলিশ থেকে স্যুপ ও নুডলস তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।

এই প্রযুক্তি ভার্গোফিস এন্ড এ্যাগ্রো প্রেসেসেস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করণের দায়িত্ব পেলো তারা।

দেশের জিডিপিতে ইলিশ মাছের অবদান ১ শতাংশ। ইলিশের ফ্যাটি অ্যাসিড বাতাসে সহজেই জারিত হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত পার-অক্সাইড তৈরি করে। এ কারণে ইলিশকে সংরক্ষণ করা যায় না, শুঁটকিও তৈরি করা সম্ভব হয় না। কিন্তু বিশেষ প্রক্রিয়ায় ড. এ.কে.এম. নওশাদ আলম কিউব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

ইলিশ অধিক আমিষ ও অধিক চর্বির মাছ। কিন্তু ইলিশের চর্বি মোটেও ক্ষতিকর নয়। চর্বিতে বিদ্যমান ওমেগা-৩ নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply