চার বছরেও কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ

|

চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি।

আহমেদ রেজা:

চার বছরেও কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ। আর এ ব্যর্থতার দায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ধারণা, করোনা পরিস্থিতি ও আফগানিস্তান সংকটেও বিশ্ববাসীর কাছে এখনও গুরুত্ব হারায়নি রোহিঙ্গা সংকট। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ নিয়ে এবারও বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে জানান তিনি।

রোহিঙ্গা ঢলের ৫ বছরে পদার্পণ হলো। কিন্তু ফিরে যায়নি একজনও। ২০১৮-১৯ সালে দু’দফা চূড়ান্ত আলোচনার পরও ফল হয়নি। চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে।

বিশ্বের নজর এখন এশিয়ার আরেক দেশ আফগানিস্তানে। তাই রোহিঙ্গা সংকট আড়ালে পড়বে কিনা সে প্রশ্ন উঠছে। অবশ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবেই জিইয়ে আছে। এখনও যে প্রত্যাবাসন হয়নি, সে ব্যর্থতা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের একটা ব্যর্থতা এখানে আছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায়নি এটা কূটনৈতিক ব্যর্থতা আমি বলবো না, বরং কূটনৈতিক সফলতা এই যে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্লাটফর্মে এখনও এটি একটি ফ্রন্টলাইন ইস্যু। আফগানিস্তানের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু সাইডলাইন হয়ে যাবে এটা ভাবার কারণ নেই।

কয়েকদিন পর নিউইয়র্কে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। সেখানে আবারও জোড়ালো অবস্থান নেবে ঢাকা। সচিব জানালেন, এই ইস্যুতে চীনকে নিয়ে আবারও বসতে চায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমরা তো সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই তাদের বলেছি যে আমরা এই বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে চাই। বল এখন তাদের কোটেই আছে। মিয়ানমারে এখন যে অথোরিটি আছে তারা জানিয়েছে তারা এখনও এই বিষয়ের জন্য প্রস্তুত না।

প্রত্যাবাসন না হলেও মানবপাচার, অস্ত্র ও মাদকের ঘটনা বেড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। যাতে উদ্বেগ বেড়েছে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়া বাংলাদেশের।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply