যমুনা টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারের পর হবিগঞ্জের শুঁটকি নদী দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের রুল

|

বয়ে চলা শুঁটকি নদী।

যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রি’ তে গত ১৮ জুন ‘নদী যখন ব্যক্তির নামে’ শীর্ষক অনুসন্ধানী পর্ব প্রচারের পর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার শুঁটকি নদী কেন দখলমুক্ত করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৫ আগস্ট) জয়দূর্গা মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রিতে প্রচারিত ওই পর্বে দেখানো হয়, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূর দিয়ে বইছে এই নদী। অথচ, এটিকে একটি বিল দেখিয়ে ইয়াহিয়া ফিস কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে করে নেয়া হয়েছে নদীটিকে। সেখানে দেখানো হয়, একদিন দুইদিন নয়, দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে একটি পরিবার নদীটিকে নিজেদের মালিকানায় নিয়ে বংশ পরম্পরায় ভোগ-দখল করে আসছে। সেখানে বর জাল নিয়ে মাছ ধরতে নামতে দেয়া হয় না সাধারণ জেলেদের, দেখানো হয় অস্ত্রের ভয়ও।

ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রির অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদনে ইয়াহিয়া ফিস কোম্পানির অন্যতম মালিক আহমেদ জুলকার নাইন দাবি করেন, এটি নদীই নয়। তার পূর্বপুরুষেরা বোরো চাষের জমিতে সেচের সুবিধার্থে এই জলাভূমি বানিয়েছিলেন।

নদীটি নিয়ে করা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

তবে শুঁটকি নদীর অববাহিকায় বাস করা প্রতাপনগর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তারা যুগের পর যুগ এটিকে একটি বহতা নদী হিসবেই দেখে আসছেন। কিন্তু নদীটি প্রভাবশালী ওই পরিবারের দখলে থাকায় তারা নদীতে মাছ ধরাসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এই প্রতিবেদন প্রচারের পর হাইকোর্টে নদীটি দখল থেকে মুক্ত করতে রিট আবেদন করা হয়। এবার এই নদীর দখলমুক্ত করার ব্যাপারে রুল জারি করলেন হাইকোর্ট।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply