প্রায় পাঁচ মাস পর জট খুলেছে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী এলিম সরকার হত্যার৷ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর যোগসাজশে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মৃত এলিম সরকারের স্ত্রী সুলতানা আক্তার কেমিলি এবং নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার তেলটুপি গ্রামের আ. সামাদের ছেলে মোঃ রবিউল করিম পিন্টু (৩৫)। নিহত এলিম সরকার আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী হাজী মোঃ ফজল হক সরকারের ছেলে।
এসআই সালেহ ইমরান জানান, পিন্টু আশুলিয়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে লাইন ম্যান হিসেবে চাকুরী করে। চাকুরীর সুবাধে নিহত এলিম সরকারের বাসায় বিদ্যুতের মিটার লাগানোর কাজ করতে গিয়ে তার স্ত্রী কেমিলির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পিন্টুর। বিষয়টি কেমিলির স্বামী টের পেয়ে গেলে তিনি তার স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে তা প্রকাশ করে দিবেন বলে জানান। এই ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। পরকীয়ার বিষয়টি যাতে অন্য কেউ জানতে না পারে সেজন্য ঘটনার এক সপ্তাহ আগে কেমিলি এবং তার প্রেমিক পিন্টু মিলে এলিম সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী পিন্টু নিহতের বাসায় দু’জন ভাড়াটিয়া খুনিকে ভাড়া করে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। তারা কাজটি করতে না পারায় পিন্টু নিজেই খুন করার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন ২৮ মার্চ সকালে কেমিলির পরামর্শে পিন্টু তার এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। এর আগে পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে স্বামী ইলিম সরকারকে দই মিষ্টির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয় তার স্ত্রী। পরে পিন্টুসহ তার সহযোগী ঘরে ঢুকে ইলিম সরকারকে হত্যা করেন।
বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ক্যামিলির স্ত্রী ডিশ ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে উক্ত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রচার করতে থাকে। মামলার আর কোনো আসামি জড়িত আছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ ঘরে ঢুকে ইলিম সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
Leave a reply