কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লাশ কবরস্থানে নেওয়ার পথে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা যাওয়া ব্যক্তির তিন ছেলেসহ চারজন আহত হয়েছে। আহতদের কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়েেনর চর জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পাহারায় লাশ দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে দানেজ মণ্ডল মধ্যতাস্থকারী হয়ে প্রতিবেশী খলিল প্রামানিকের ২৪ শতাংশ জমি খালেক প্রামাণিকের কাছে বিক্রি করেন। দীর্ঘদিন পার হলেও সেই জমি রেজিস্ট্রি হয়নি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত কারণে দানেজ মণ্ডল মারা যান দানেজ মণ্ডলের ছেলে ও স্বজনরা মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে চর ভবানীপুর কবরস্থানের দিকে যান। পথিমধ্যে মজিবর মণ্ডলের বাড়ির সামনে হাঁসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একই এলাকার মৃত জহায় প্রামাণিকের ছেলে খালেক প্রামাণিক (৪৫), কাদের সরদার (৫৫), খালেক প্রামাণিকের ছেলে সোহেল প্রামাণিকসহ অজ্ঞাত তিন থেকে চার জন অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় নিহত ব্যক্তির তিন ছেলে রমজান, আমিরুল, আশরাফুল এবং নিতহের নাতি শাহিন গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত আশরাফুল আলম বলেন, আমার বাবা দানেজ মণ্ডলের লাশ দাফনের জন্য কবরস্থানে যাচ্ছিলাম। আমরা তিন ভাই ও ভাতিজা সোহেলর কাঁধে খাটিয়া ছিল। এসময় খালেক প্রামাণিকসহ তার ভাই ও ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির এলাকায় বেশকিছু টাকা পয়সা দেনা রয়েছে। পাওনা পরিশোধ না করে পাওনাদাররা লাশ দাফনে বাধা দেয়। এনিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় লাশ দাফন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Leave a reply