কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা পিতা-পুত্র এবং জনপ্রতিনিধিসহ ৪২ জন ড্রেজার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বুধবার (২৫আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রৌমারী আমলী আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন আলি এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি ইসমাঈল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ, জিঞ্জিরাম, সোনাভরি, ধরনী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ড্রেজার মালিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ্জামাল, তার দুই ছেলে আতিকুর রহমান, আজিজুর রহমান, যাদুরচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য বানিজ আলী, রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ইব্রাহিম খলিলসহ ৪২জন ড্রেজার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
আদালতের আদেশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি অসাধু বালু ব্যবসায়ী চক্র। এর ফলে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে সাধারণ মানুষ ভিটেমাটিসহ আবাদি জমি হারাচ্ছেন।
আদালত গত ২ মে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর-১৮৯৮ এর ১৯০(১) (সি) ও ১৫৬ ধারার অধীনে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই প্রতিবেদনে উপজেলার ৪২টি পয়েন্টে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে আদালতকে জানান তদন্ত
কর্মকর্তা। বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার মালিকদের বৈধ কাগজপত্র নেই এবং রৌমারী উপজেলায় সরকারের বালু মহালও নেই বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৪ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে উল্লেখিত ৪২টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করা ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। একই সাথে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারী পরোয়ানা
তামিল প্রতিবেদনের দিন ধার্য করেন।
/এস এন
Leave a reply