বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আগামী নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে লড়তে চান না নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ আর পরিবারের কথা ভেবেই এমন চিন্তা তার। তবে গঠনতন্ত্রে থাকলেও সহ-সভাপতি হিসেবে গেলো চার বছরে কেন কাউকে নির্বাচন করতে পারেননি তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি পাপন। এদিকে গেল প্রায় দুই বছর বিসিবিতে অনুপস্থিত লোকমান ভুঁইয়া এখনও পরিচালক পদে আছেন বলে বিসিবির এজিএম শেষে জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি।
বিসিবি সভাপতির পাশে সবসময় সংবাদ সম্মেলনে প্রভাবশালী পরিচালকরাই থাকেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এজিএম শেষে নাজমুল হাসান পাপনের পাশে দেখা গেলো ঘরোয়া ক্রীড়া রাজনীতির চেনা মুখগুলোকে। যেকোনো ফেডারেশনের নির্বাচনেই যারা কিনা মুল প্রভাবটা ফেলেন। এমন দৃশ্যই জানান দেয় বিসিবিতে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া।
১ বা ২ সেপ্টেম্বরের বোর্ড সভাতেই জানা যাবে কবে বিসিবির নির্বাচন হচ্ছে। খুব দ্রুতই যে হবে সেটাও পরিষ্কার। তবে, এই নির্বাচনে আবার অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি।
আসছে নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ক্রিকেট আমার কাছ থেকে অনেক সময় নিয়ে গেছে। আমার একটা অভ্যাস হলো, আমি বাংলাদেশের হার মেনে নিতে পারি না। আমার পরিবারের মানুষরাও তখন সামনে আসতে পারে না। ডাক্তার আমাকে বারবার বলেছে এই ক্রিকেট থেকে তাড়াতাড়ি সম্ভব দূরে সরে যেতে। আর বোর্ডে থাকলেও যেন এগুলো না করি।
যদিও মঞ্চেই এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন সংগঠকরা। মুচকি হেসে উত্তরে আগামী বোর্ড সভায় চমকের কথা বললেন পাপন।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনারা একটু ভিন্নতা পাবেন এটিতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি নতুন প্রস্তাব দিয়েছি যা গ্রহণ হলে অন্যান্যবারের মতো নির্বাচন হবে না।
/এস এন
Leave a reply