আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
রি-ক্যালিব্রেশন পরিকল্পনার অধীনে ৯০ হাজারেরও বেশি অননুমোদিত অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দেশটির অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম) উপ- মহাপরিচালক (নিয়ন্ত্রণ) দাতুক মাখজান মহিউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রত্যাবাসন-প্রত্যাবর্তন কর্মসূচির অধীনে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ৯৬ হাজার ৮০৯ জন অননুমোদিত অভিবাসীকে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে এ প্রক্রিয়ায় কতজন বাংলাদেশি ফেরত পাঠানো হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ পর্যন্ত এক লাখ ৭৪ হাজার ৬৮ জন শ্রম পুনর্বিবেচনার কর্মসূচির অধীনে নিবন্ধিত হয়েছেন। শ্রম পুনর্বিবেচনার কর্মসূচির আওতায়, বিদেশি কর্মী নিয়োগ স্থগিত হওয়ার কারণে শ্রমিক সংকটের মুখোমুখি পাঁচটি সেক্টরে (বৃক্ষরোপণ, কৃষি, নির্মাণ, উৎপাদন এবং পরিষেবা) নিয়োগকারীরা শ্রমিক নিয়োগ করতে পারবেন বলেও জানান উপ মহাপরিচালক। তবে নিয়োগকর্তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের একটি বৈধ ভ্রমণ নথি আছে।
অবৈধ অভিবাসীদের পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা সম্পর্কে বার্নামা রেডিওতে একটি সাক্ষাৎকারের সময় তিনি আরও বলেন, অভিবাসন দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার আগে নিয়োগকর্তাকে মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি কোটা অনুমোদন নিতে হবে।
উপ-মহাপরিচালক বলেন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাসহ ১৫টি দেশের বৈধ কাগজপত্র আছে, কেবল তাদের কর্মসূচির অধীনে একটি অস্থায়ী কর্মসংস্থান পাস (পিএলকেএস) দেওয়া হবে। কৃষি এবং বৃক্ষরোপণ খাতে নিয়োগের খরচ প্রতি শ্রমিক ২ হাজার ৫৩৫ রিঙ্গিত, নির্মাণ, উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতে প্রতি শ্রমিকের জন্য ৩ হাজার ৭৪৫ রিঙ্গিত, প্রথম সেক্টর গ্রুপের জন্য ৬৪০ এবং দ্বিতীয় গ্রুপের জন্য ১ হাজার ৮৫০ রিঙ্গিত লেভি ধার্য করা হয়েছে। পুনর্নবীকরণ পরিকল্পনা ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর অথবা বৈধতার জন্য কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
পরিচালক আশা করেন, গ্রেফতার ও অভিযুক্ত হওয়া এড়াতে নিয়োগকর্তা বৈধতার এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবেন। যারা যারা নিজ দেশে ফেরত যেতে চায় তাদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে দেশে যেতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বিমান টিকিট ও বৈধ কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে। এছাড়া যারা ফৌজদারি অপরাধ করেছে তাদের আদালতে যেতে হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply