পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
দুই পক্ষের মাঝে মীমাংসা করাতে গিয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার রোষানলে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মমিনুর ইসলাম। তাকে অন্যত্র বদলি করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ইব্রাহিম ও আহসান নামে আপন দুই ভাই স্থানীয় রীনা বেগম নামের এক গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বৃষ্টির পানি ঘরে পড়াকে কেন্দ্র করে রীনা বেগমের ওপর হামলা চালায় ওই সহোদর। এরপর রীনা বেগম ওই দুই ভাইয়ের নামে তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মমিনুর ইসলাম অভিযুক্তদের ফাঁড়িতে আসতে বললে তারা আসতে রাজি হননি। পরবর্তীতে পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে সালিশ করার কথা বলে দুই ভাইকে তদন্ত কেন্দ্রে হাজির করানো হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।
এর আগে, অভিযুক্ত বড় ভাই ইব্রাহিম উত্তেজিত হয়ে ছোট ভাই আহসানকে চর-থাপ্পড় মারেন তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের উপস্থিতিতেই। ইনচার্জ মমিনুর জানান, এ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আহসান। তাই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে সেখান থেকে বের হয়ে তার ওপর দোষ চাপানর নানা ধরনের অপচেষ্টা শুরু করে আহসান।
এ ব্যাপারে চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মমিনুর ইসলাম জানান, আমি আহসানের বড় ভাই ইব্রাহিমকে বলি কি বিচার করা উচিত। তখন তিনি তার ছোট ভাইকে আমার সামনে বসে চর থাপ্পড় মারলে আমি তাকে থামিয়ে দেই এবং দুই গ্রুপকে মিলিয়ে দেই। পরবর্তীতে তারা স্থানীয় এক মেম্বারের কাছে গিয়ে বলে আমি আহসানের গায়ে হাত দিয়েছি।
এরপর থেকে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মোশারফের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে তাকে বদলি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মমিনুরের।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মোশাররফ হোসেন জানান, এগুলো ভিত্তিহীন। যেহেতু আমি রাজনীতি করি সে কারণে ওরা আমার কাছে এসেছিল। আমি বলেছি তদন্ত কেন্দ্রে যেতে। সে কারণে ওরা মনে করতে পারে যে, আমি এর মধ্যে জড়িত। কিন্তু আসলে আমি জড়িত না।
উল্লেখ্য, চার থেকে পাঁচ মাস আগে এসআই মমিনুরকে চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যুক্ত করা হয়।
/এস এন
Leave a reply