চীনের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী ঝাং শুয়াংকে কর ফাঁকির অপরাধে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯৪ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন দেশটির আদালত।
চাইনিজ গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সেলিব্রিটিদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে দেশটি। তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে চীন সরকার। সে নীতিমালা বাস্তবায়নে সাংহাই মিউনিসিপাল ট্যাক্স সার্ভিসের তদন্তে সামনে আসে অভিনেত্রী ঝাং শুয়াংয়ের ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কর ফাঁকি এবং অবৈধ আয়ের প্রমাণ।
কর ফাঁকি এবং অবৈধ আয়ের অভিযোগে ঝাং শুয়াংকে ৪৬.১ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৯৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে ঝাংয়ের অংশ নেয়া সব ধরনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে চীনের জাতীয় বেতার ও টেলিভিশন প্রশাসন।
চীনের আইনপ্রনেতারা জানিয়েছেন, বিনোদন শিল্পের ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ঝাং শুয়াংয়ের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শুধু ঝাং শুয়াং নয়, যেসব তারকার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি বা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে তাদের কাউকেই শুটিংয়ের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না এবং তাদের কাজগুলো অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকেও সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চীনের সিনেমা ও টেলিভিশনের একজন শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী ঝাং শুয়াং। তিনি আধুনিক চীনের রোমান্সের রাণী নামেও পরিচিত। ২০১৬ সালে মেটিওর শাওয়ার এ অভিনয় করে সাড়া ফেলেন ঝাং, এই সিনাম্য অভিনয় করেই তিনি জিতে নেন চীনের বর্ষসেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। একই বছর চায়না টিভি গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ডসও জেতেন তিনি। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠতে এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।
/এসএইচ
Leave a reply