আমিন বাবু:
ফেরিঘাট নির্মাণের আগে পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাই হয়নি অথচ ড্রেজিং এবং অবকাঠামো খাতে খরচ হয়ে গেছে ১৪৫ কোটি টাকা! প্রকল্পের মেয়াদ শেষে জানা গেলো জামালপুরের বাহাদুরাবাদ থেকে গাইবান্ধার বালাসী পর্যন্ত ফেরি চলাচল সম্ভব নয়। তাই উদ্বোধনের বদলে বাতিল হলো প্রজেক্ট।
বিপুল অংক জলে গেলেও এর দায় নিচ্ছে না কেউ। তাই বিআইডব্লিউটিএ’র এমন ভূতুরে প্রকল্পে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
উত্তরাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে ১৯৩৮ সালে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ থেকে গাইবান্ধার বালাসী পর্যন্ত রেল-ফেরি চালু করে ব্রিটিশরাজ। বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর ভাটা পড়ে ফেরিতে। বন্ধ হয়ে যায় রুটটি।
বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুট সচল করতে ২০১৭ সালে ১৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া শুধু প্রাথমিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রকল্প গ্রহণ ও কাজ শুরু হয়। পরে আরও দুই দফা খরচ বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ হয় ১৪৫ কোটি টাকা। গত ৩০ জুন শেষ হয় এই প্রকল্পের কাজ। তারপর নাব্যতা সংকট দেখিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, এটা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে, যেহেতু নাব্যতার সঙ্কট রয়েছে। তারা যেভাবে ড্রেজিংটা করেছে এটা আরও পরিকল্পিতভাবে করলে হয়তো সম্ভব হতো। আমার মনে হয় এত সুন্দর স্থাপনা সরকার কখনও বিফলে যেতে দিবে না। এই অঞ্চলের মানুষের জনকল্যাণে যেভাবে এটা ব্যবহার করা যায় সরকার সেভাবেই এর ব্যবস্থা নিবে।
এই খবরে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা জানান, এযাবৎ ফেরি চললো এখন বলে ফেরি চলবে না। তারা বলে পানি নেই। কি কারণে পানি থাকে না আর কি কাটে? এমন অনেক ড্রেজিং আছে যেগুলো দিয়ে নদী হয়ে যাবে সমুদ্র। নদীর মুখে বালু ফেলার কারণে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক চর পড়ে গেছে। আবার অনেকেই বলছেন, অনেক যাচায় বাছাই করে যদি এই প্রকল্প হাতে নিতো তাহলে সরকারের এত বড় ক্ষতি হতো না।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে কথা বলতে কাউকে পাওয়া যায়নি। দায় নিতে নারাজ সাবেক আর বর্তমান প্রশাসন কর্তাব্যক্তিরাও। স্থানীয়দের প্রশ্ন তাহলে ১৪৫ কোটি টাকা গচ্চার দায় কার?
ইউএইচ/
Leave a reply