বরগুনা প্রতিনিধি:
নির্বাচনী হলফনামায় ঋণখেলাপির তথ্য গোপন করায় পদ হারিয়েছেন বরগুনা আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান।
ফোরকানের ঋণখেলাপির তথ্য সংযোজন করে মামলা হলে আপিল শুনানি শেষে বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের আদেশ দিয়েছেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল। এ আদেশের ফলে আপিলেও ফোরকানের পদ হারানোর আদেশ বহাল থাকলো।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মনোনয়নপত্রে গোলাম সরোয়ার ফোরকান তার ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।
পরে ওই বছরের ২১ এপ্রিল ফোরকানের ঋণখেলাপির তথ্য সংযোজন করে বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামসুদ্দীন আহমেদ ছজু। পরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালত সকল তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফোরকানকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আমতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করার আদেশ দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। পরে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর রূপালী ব্যাংকের শাখা থেকে নিজ নামে এক বছর মেয়াদে ১৮ লাখ টাকা ঋণ তোলেন ফোরকান। যা সুদে-আসলে ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়াও নিজের মালিকানাধীন বনানী ট্রেডার্স’র নামেও এক বছর মেয়াদে ঋণ তোলেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখে।
যথাসময়ে এই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৪ সাল থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকা নাম ওঠে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের।
এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, গোলাম সরোয়ার ফোরকান নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তার ঋণ খেলাপির বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আমতলী উপজেলায় নতুন করে নির্বাচনের আদেশ দেয়া হয়েছে।
Leave a reply